২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মেসিকে কিনতে চেয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ? সঙ্গে টাকার বস্তা

- ছবি : সংগৃহীত

আশৈশব থেকে সেই বার্সেলোনায়। সম্প্রতি বাজে সম্পর্কের জের ধরে ক্লাব ছাড়তে চেয়েছিলেন লিওনেল মেসি। তবে নানা জটিলতায় শেষ অবধি তার যাওয়া হয়নি অন্য কোথাও। থেকে গেছেন ন্যু ক্যাম্পে। কিন্তু মেসির চলে যাওয়ার খবরে পাখির চোখ করে ছিল বেশকটি ক্লাব।
অসম্ভব বাই আউট ক্লোজের বিপুল পরিমাণ অর্থও দিতে রাজি ছিল দুই একটি ক্লাব। কিন্তু সেটি করতে মেসিকে যেতে হতো কোর্টে। প্রিয় ক্লাব ছাড়তে কোর্টে যেতে চাননি মেসি।

২০১৩ সালেও একবার মেসির বার্সেলোনা ছাড়ার গুঞ্জন চাউর হয়েছিল। কর ঝামেলায় তখন ক্লান্ত ছিলেন মেসি। তখনই নাকি বার্সার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ মেসিকে কিনতে চেয়েছিল। অর্থের পরিমান শুনলে চোখ কপালে উঠতে পারে আপনার। বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ২ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা।

এমন খবরের সত্যতা মিলেছে অনেকদিন পর। আর সেটা এক ক্রীড়া সাংবাদিকের লেখা বইয়ে। স্কাই স্পোর্টসের ইতালিয়ান সাংবাদিক জিয়ানলুকা ডি মার্জিও তার বই ‘গ্র্যান্ড হোটেল কালচোমের্কাতো’য় প্রকাশ করেছেন এমন তথ্য। ২০১৩ সালে বার্সায় মেসির ২৫ কোটি ইউরো বাইআউট ক্লজ (বার্সেলোনার ইচ্ছার বাইরে মেসিকে কিনতে যে অর্থ দিতে হতো আগ্রহী ক্লাবকে) পরিশোধ করে তাকে কেনার প্রস্তাব দিয়েছিল রিয়াল।

শুধু রিয়াল নয়, ঐ সময় মেসিকে নাকি কিনতে চেয়েছিল চেলসিও। চেলসির কোচ তখন হোসে মরিনহো।

মেসিকে নিয়ে রিয়ালের আগ্রহ প্রসঙ্গে ডি মার্জিও তার বইয়ে জানান, ‘২০১৩ সালে প্রস্তাবটি দিয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। আর্জেন্টাইনের জন্য তিনি ২৫ কোটি ইউরো (রিলিজ ক্লজ) দিতে চেয়েছিলেন। এই টাকাটা রাখা ছিল সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর পুনঃসংস্কারের জন্য।

কিন্তু মেসি নাকি প্রস্তাবটা শুনতেই রাজি ছিলেন না। সোজাসাপ্টা বলেছিলেন, ‘‘রিয়াল মাদ্রিদে যাচ্ছি না। তোমরা সময় অপচয় করছ।’


আরো সংবাদ



premium cement