০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


টাইব্রেকারে জিতে স্বাধীনতা কাপের সেমিতে বসুন্ধরা

- ছবি : সংগৃহীত

২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে আনিসুর রহমান জিকো। জাতীয় দলের এই গোলরক্ষকের অতীতে কোনো রেকর্ড নেই সর্বোচ্চ পর্যায়ে পেনাল্টি পর্যন্ত ঠেকানোর। অথচ শুক্রবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে তিনিই হয়ে গেলেন টাইব্রেকার হিরো। একে একে রহমতগঞ্জের তিনটি টাইব্রেকার ঠেকিয়ে নিজ দল বসুন্ধরা কিংসকে টেনে নিলেন সেমিফাইনালে।

ওয়ালটন স্বাধীনতা কাপের শেষ কোর্য়াটার ফাইনালে শুক্রবার বিগ বাজেটের দল বসুন্ধরা কিংস রহমতগঞ্জ বাধা টপকিয়েছে পেনাল্টি শ্যূট আউটে ৩-২ এ জিতে। এর আগে নির্ধারিত সময়ের খেলা ২-২ এ শেষ হওয়ার পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে গোল পায়নি কোনো দলই। ৯০ বা ১২০ মিনিটের ম্যাচে বসুন্ধরা কিংস জিতলে পুরো কৃতিত্ব যেতো তাদের বিশ্বকাপের খেলা কোস্টারিকার ড্যানিয়েল কলিনড্রেসের দিকে।

তার মাঠে নামার পরেই বদলে যায় প্রিমিয়ারে নবাগত দলটি। নিজে গোল করে সমতা এনেছেন। এরপর তার পাস থেকে ফের খেলায় ফেরা ইনজুরি টাইমে; কিন্তু স্পটকিকে তিনটি শট ঠেকিয়ে কক্সবাজারের ছেলে ২১ বছর বয়সের জিকোই হয়ে গেলেন ম্যাচ সেরা। আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিও দিয়েছেন বাফুফের কোচরা। ২০ তারিখে সেমিতে বসুন্ধরা খেলবে ঢাকা আবাহনীর বিপক্ষে।

এতোটা অসহায় আগে কখনও দেখা যায়নি বসুন্ধরা কিংসকে। তাদের নিয়মিত একাদশের সাত জন বাইরে। সবুজ ও সুশান্ত সাসপেন্ড। ইব্রাহিমের ইনজুরি। চার বিদেশীর তিন জনই আনফিট। নাসির ছাড়া ডিফেন্সে নির্ভরযোগ্য কেউ নেই। ফলে এদিন একাদশে খেলা একমাত্র বিদেশী ছিলেন কিরগিজস্তানের বখতিয়ার। এই সুবিধা নিয়েই তাদের উপর চড়াও হয় রহমতগঞ্জ। ২৫ মিনিটে গোল করে এগিয়েও যায় দলটি। বিপক্ষ রক্ষণকর্মীদের দুর্বলতায় কবিরুল ইসলামের ক্রসে কাটব্যাক করেন এনামুল ইসলাম। সে বলে জাতীয় দলের সাবেক মিডফিল্ডার জামাল হোসেনের শট পোস্টে লেগে বসুন্ধরার জালে জড়ায়। এর আগে ২ মিনিটে রহমতগঞ্জের ফয়সাল এবং ৩ মিনিটে বসুন্ধরার সুফিলের শটে বাধা হয়ে দাড়ায় দুই দলের কিপার।

দল পিছিয়ে। এই অবস্থায় অ্যাংকেলে ইনজুরি নিয়েই ৫৮ মিনিটে নিজ থেকে মাঠে নামার আগ্রহ দেখান কলিনড্রেস। নামার মিনিটখানের পরেই তার নেয়া ফ্রি-কিক ক্রসবারে বাতাস দিয়ে যায়। এরপর ৬৭ মিনিটে নাইমউদ্দিনের পাস থেকে বল পেয়ে ডান পায়ের বাঁকানো শটে বসুন্ধরা কিংসকে খেলায় ফেরান কলিনড্রেস। অবশ্য ৭১ মিনিটে আবার লিড পুরান ঢাকার দলটির। সিও জুনাপিও’র পাস থেকে বল পেয়ে গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে বল জালে পাঠান ফয়সাল। বল জিকোর হাতে লেগে পোস্টে আঘাত দিয়ে গোললাইন অতিক্রম করে।

এরপর চলছিল কলিনড্রেস আর বিপক্ষ কিপার তিতুমীর টিটুর লড়াই। ইনজুরি টাইমে এই কোস্টারিকানের শট পোস্টে বাধা প্রাপ্ত হয়। সবাই যখন বসুন্ধরা বিদায়ের অপেক্ষায় ঠিক তখনই ইনজুরি টাইমের শেষ মিনিটে (৯৫ মি.) কলিনড্রেসের ক্রসে কিরগিজ বখতিয়ারের হেড পোস্টে লেগে জালে বসুন্ধরা শিবিরে স্বস্তি আনে। ১০০ মিনিটের সময় জুনাপিও’র বল গোল লাইন থেকে ঠেকান বসুন্ধরার ডিফেন্ডার নাসির।

অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে গোল না হওয়ায় টাইব্রেকারে বসুন্ধরার বখতিয়ার, নাসির ও কলিনড্রেস গোল করেন। ইমন বাবুর শট রুখে দেন রহমতগঞ্জের কিপার টিটু। জনি মারেন পোস্টে। রহমতগঞ্জের ফয়সাল ও দিদার গোল করলেও তিন বিদেশী জুনাপিও, মানডে ও দামিয়ানের শট আটকে দেন বসুন্ধারার কিপার জিকো। হারের জন্য রহমতগঞ্জের কোচ সৈয়দ গোলাম জিলানী দূর্ভাগ্যকে দায়ী করেন। আর বসুন্ধরার কোড অস্কার ব্রুজন পুরো কৃতিত্ব দিলেন কলিনড্রেস আর জিকোকে।


আরো সংবাদ



premium cement