২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


প্রাথমিকের সব শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ

আজ থেকে মূল্যায়ন শুরু করবেন শিক্ষকরা; প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত আটো পাস; দুর্বলরা ৩ মাস পড়বে পুরনো সিলেবাস
-

প্রাথমিকের সব শিক্ষার্থীকে উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে (ডিপিই) চিঠি দেয়া হয়েছে। একই সাথে আজ মঙ্গলবার থেকে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে মূল্যায়ন কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো: জাকির হোসেন। তিনি আরো জানিয়েছেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের নিজ শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করবেন। তবে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা কোনো মূল্যায়ন ছাড়াই অটো পাসের মাধ্যমে উপরের ক্লাসে উত্তীর্ণ হবে।
শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো: জাকির হোসেন জানিয়েছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিজ নিজ ক্লাসের শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে পরবর্তী ক্লাসে তুলতে বলা হয়েছে। প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত মূল্যায়ন ছাড়া পরবর্তী ক্লাসে তোলা হবে। চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীতে যারা উঠবে তাদের মূল্যায়নের মাধ্যমে পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করা হবে। প্রতিমন্ত্রী জানান, সংসদ টেলিভিশন ও রেডিওতে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের নিয়মিত শ্রেণীপাঠ প্রচার করা হচ্ছে। অনেক শিক্ষক তাদের শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাসার কাজ সম্পন্ন করছেন। টেলিফোনের মাধ্যমে অনেকে শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ করে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে সহায়তা করছেন। এসবের ওপর ভিত্তি করে মূল্যায়নের মাধ্যমে চতুর্থ-পঞ্চম শ্রেণীতে তোলা হবে।
কী পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করবেন সে বিষয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে মূল্যায়ন কাজ শুরু হবে। একজন শিক্ষার্থীর পরবর্তী ক্লাসের জন্য যতটুকু জ্ঞান থাকার দরকার তা আছে কি না, না থাকলে তাকে যা শিখতে হবে সে বিষয়ে শিক্ষকরা পরামর্শ ও সহায়তা দেবেন। আগামী ১ জানুয়ারির মধ্যে এ কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে।
টিভি ও রেডিওতে সম্প্রচার হওয়া ক্লাস থেকে বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের কিভাবে মূল্যায়ন করা হবে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সব শিক্ষার্থীকে পরবর্তী ক্লাসে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যারা রেডিও, টিভিসহ কোনো মাধ্যমে পাঠদান নিতে পারেনি বা সিলেবাস শেষ করতে পারেনি তাদেরও পরবর্তী ক্লাসে তোলা হবে। তবে এ ক্ষেত্রে শিক্ষকদের এসব শিক্ষার্থীর প্রতি বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে জানুয়ারি থেকে যদি বিদ্যালয়ে শ্রেণী পাঠদান শুরু করতে পারি তবে, গত ছয় মাসের পিছিয়ে পড়া সিলেবাস পড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এ জন্য নতুন সিলেবাসের সাথে এক থেকে দেড় মাস পুরনো সিলেবাস পড়ানো হবে।


আরো সংবাদ



premium cement