ডিসিদের রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ কেন অবৈধ নয় : হাইকোর্ট

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এ মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে জ্যেষ্ঠ আইন সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, জনপ্রশাসন সচিব ও নির্বাচন কমিশন সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এক আবেদনের প্রেক্ষাপটে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল এ রুল জারি করেন।
জাতীয় নির্বাচনে বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ৬ ডিসেম্বর এই রিট আবেদনটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুর রহমান।
জাতীয় নির্বাচনে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ঘোষণা করে গত ৮ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন যে গেজেট জারি করেছিল, তা কেন ‘অবৈধ, অসাংবিধানিক ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত’ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে রিটে।
গতকাল আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব। অন্য দিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
আদালতের আদেশের পর ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব সাংবাদিকদের বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনের ৬৮৯ কর্মকর্তার মধ্যে থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষমতা রয়েছে ইসির হাতে। এর বাইরে অন্য কাউকে ওই দায়িত্ব দেয়ার ‘এখতিয়ার ইসির নেই’।
অন্য দিকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘আদালত রুল জারি করলেও জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে বাধা দেখছি না। আদালত নিয়োগ স্থগিত করেনি। তবে রুল শুনানির পর যে রায় হবে, তাতে কোনো নির্দেশনা থাকলে তা ভবিষ্যৎ নির্বাচনের ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে’।