২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


এক এসআই ও দু’নারী

নারীদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা চাই

-

সহযোগী একটি জাতীয় দৈনিকে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। শিরোনাম- এসআইয়ের বিরুদ্ধে দু’নারীর যত অভিযোগ। মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী থানার জনৈক পুলিশ কর্মকর্তার নামে তাদের অভিযোগই হলো আলোচ্য বিষয়। প্রশাসনের সব কর্মকর্তাই নারীবান্ধব হওয়া যে উচিত, সেটিই ফুটে উঠেছে এতে।
জানা যায়, টঙ্গীবাড়ীর জনৈক এসআইয়ের বিরুদ্ধে পৃথক দু’টি লিখিত অভিযোগপত্র দিয়েছেন দুই নারী। তাদের একজন চেক আত্মসাতের অভিযোগ এনেছেন। আরেকজন তার পরিজনকে অপবাদ, গালি দেয়া ও হয়রানির অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্ত কর্মকর্তা সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন।
টঙ্গীবাড়ী উপজেলার একটি গ্রামের জনৈক দফতরির মেয়ের অভিযোগসূত্রে ও তার সাথে কথা বলে জানা যায়, বৃহত্তর সিলেটের হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার চানপাড়া গ্রামের এক ব্যক্তি তার ভাইকে বাড়ি তৈরি করার পাথর দেয়ার কথা বলে আড়াই লাখ টাকা মেরে দেন। এ ব্যাপারে গত ১০ জুলাই মুন্সীগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্তের কাজ পেয়েছেন ওই এসআই। তিনি মামলা দায়েরের দু’দিন পর সেই নারীর বাড়িতে যান এবং এক লাখ টাকার একটি চেক ফেরতদানের কথা বলে নিয়ে আসেন। পরে একাধিকবার ওই চেক তিনি ও তার ভাই ফেরত চাইলে তা দেয়া হয়নি এবং এ নিয়ে তালবাহানা করা হয় বলে অভিযোগ।
আরেক নারী উপজেলার বালিগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। তিনি অভিযোগ করে বলেছেন, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ২৭ মে কোলের এক মাসের কন্যাসন্তান নিয়ে নিজ ঘরে বসেছিলেন। এমন সময়ে প্রতিবেশী বখাটে এক যুবক তাকে ধর্ষণের অপপ্রয়াস পায়। তার চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে। পরে সে যুবক, তার মা ও ভাবী ভুক্তভোগী নারীকে ভীষণ প্রহার করেছে এবং এমনকি তার শিশুকন্যাকে ফেলে দেয়। এ বিষয়ে সেই মহিলার ভাই থানায় অভিযোগ দেন এবং টঙ্গীবাড়ীর সেই একই এসআই তদন্তের জন্য তাদের বাড়ি যান। কিন্তু তিনি তখন গালি দিয়ে বলেন, এ পরিবারের সবাই দেহব্যবসা করে। এর প্রতিবাদ করা হলে তিনি বিবাদিদের বলেন, ‘তোমরা মামলা করলে এদের সবাইকে ধরে নিয়ে যাব।’ একজন বৃদ্ধাকে ওই পুলিশ অফিসার বলেছেন, তোকে হ্যান্ডকাফ দিয়ে থানায় নিয়ে যাব। তিনি নাকি পুরুষদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। সেই মহিলা জানান, ওই এসআইয়ের ভয়ে তিনি সপরিবারে পালিয়ে আছেন। এসপি তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী মহিলা বলেছেন, প্রতিবেশী যুবক বাড়িতে ঢুকে আমাকে নির্যাতন করেছে। আমার মাত্র এক মাসের কন্যাকে কোল থেকে ফেলে দেয়। তাই তার এখনো জ্বর আসে। অথচ পুলিশ উল্টো গালাগালি করেছে মামলা দায়ের করায়।
এসব ছাড়াও ওই এসআইয়ের নামে অভিযোগ আছে বেআইনি অর্থ আদায়সহ বিভিন্ন অপকর্মের। তার দম্ভোক্তির রেকর্ডে শোনা যায়, তিনি বলছেন- ‘আমাকে এসপি চেনে’। অভিযুক্ত কর্মকর্তা কোনো সদুত্তর দেননি।
পুলিশ নারীর নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।


আরো সংবাদ



premium cement