০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


সাটুরিয়ায় তাপদাহে হাঁসফাঁস নেমে এসেছে জনজীবনে

সাটুরিয়ায় তাপদাহে কাবু মানুষ, জনজীবনে হাঁসফাঁস - নয়া দিগন্ত

কয়েকদিন ধরেই তীব্র গরমের তাপমাত্রার পারদ ৪১ থেকে ৪২ ডিগ্রিতে উঠানামা করছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরের দিকে হঠাৎ করেই মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় গরমের আরো তীব্রতা বেড়ে গেছে। এতে জনজীবনে হাঁসফাঁস নেমে এসেছে। হাসপাতালে শিশুসহ নানা বয়সী রোগীর চাপ বেড়েছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। মানুষ গরম থেকে বাঁচতে বারবার গোসল করছে। ফসলের মাঠ শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে। এদিকে ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে জনজীবন আরো বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

উপজেলার ছনকা এলাকার কৃষক দবির উদ্দিন বলেন, দাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। ধানক্ষেতে বারবার সেচ দিতে হচ্ছে। ফলে সেচে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। তীব্র দাবদাহের কারণে নতুন করে ভুট্টার আবাদ করা যাচ্ছে না।

রিকশাচালক মনু মিয়া বলেন, গরমের তীব্রতার কারণে যাত্রী আসা-যাওয়া কমে গেছে। বেশির ভাগ মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। আমরা কর্মহীন হয়ে পড়েছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তাপদাহে ফসলে মাঠ শুকিয়ে যাচ্ছে। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে ধানক্ষেতে বারবার সেচ দেয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে।

সাটুরিয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের উপ-মহা ব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো: মামুন-অর-রশিদ বলেন, গরমের তীব্রতার কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় লোডশেডিং হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, উৎপাদন কম থাকায় রেশনিং পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।

সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা: মো: মামুন উর রশিদ নয়া দিগন্তকে বলেন, হাসপাতালে দুজন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছে। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামাল দিতে হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শান্তা রহমানের সরকারি মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেননি।


আরো সংবাদ



premium cement