০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বিজিবির টহলের মধ্যেও শিমুলিয়াঘাটে চলছে যাত্রী পারাপার

বিজিবির টহলের মধ্যেও শিমুলিয়াঘাটে চলছে যাত্রী পারাপার - ছবি : নয়া দিগন্ত

বিশ্বজুড়ে চলছে করোনাভাইরাস মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ। এর ব্যতিক্রম নয় বাংলাদেশও। করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চলছে লকডাউন। কোথাও কোথাও এই লকডাউন চলছে কঠোরভাবে। কিন্তু আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে কঠোর লকডাউনেও ঘরমুখো লাখো মানুষ। ঈদের আনন্দকে পরিবারের সদস্যদের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে সবাই ছুটছে তাদের স্থায়ী ঠিকানায়। গত কয়েক দিন মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়াঘাটে দেখা যায় লাখো মানুষের ভিড়। সরকারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কর্মস্থল থেকে ঘরে ফিরছে এসব মানুষ। এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে স্থানীয় প্রসাশনের। ফলে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে শিমুলিয়াঘাটে মোতায়েন করা হয়েছে দুই প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বিজিবির টহল জোরদার করা হলেও চলছে যাত্রী পারাপার।

এ দিকে রাতে ফেরি চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসির সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত হোসেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অনেক যাত্রী এখনো অবস্থান করছেন শিমুলিয়া ঘাটে। অপেক্ষা করছেন রাতে ফেরি চলাচলের। ফেরি চলাচল শুরু হলে নদী পারাপার হবেন তারা।

বরিশালের যাত্রী সোহরাব বলেন, সকাল থেকে অপেক্ষা করছেন তিনি। যত কিছুই হোক বাড়ি ফিরবেন তিনি। কোনো বাধাই আটকে রাখতে পারবে না তাকে।

মাওয়া নৌপুলিশের ইনচার্জ সিরাজুল কবির জানান, সন্ধ্যার পর থেকে কোনো ফেরি ছেড়ে যেতে দেখা যায়নি। তবে অ্যাম্বুলেন্স বা বিশেষ প্রয়োজনীয় গাড়ি এলে ফেরি ছাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে যাত্রীর বেশ চাপ ছিল। আধা ঘণ্টা আগে একটি ফেরি ছেড়ে যাওয়ায় এখন যাত্রীর চাপ কমেছে। সন্ধ্যার যাত্রীরা ঘাটে আসছে। ট্রলারে করে পারাপারের সময় ১৮টি ট্রলার জব্দ করা হয়েছে। ১৬ হাজার টাকা জরিমানাও আদায় করা হয়েছে তাদের কাছ থেকে।

এ দিকে বিজিবির চেকপোস্ট ভেদ করেই ঘরমুখো মানুষ এখনো ফেরিঘাটে ভিড় করছে। পারাপারের অপেক্ষায় যানবাহনের মধ্যে বেশি রয়েছে প্রাইভেটকার। দীর্ঘ সারি রয়েছে ট্রাকেরও।

জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদার জানান, ‘করোনা পরিস্থিতির মধ্যে হাজার হাজার মানুষ বেপরোয়াভাবে শিমুলিয়াঘাটে এসে ফেরিতে নদী পার হচ্ছেন। যা ঠেকাতে পুলিশকে সহযোগিতা করবে বিজিবি। এক প্লাটুন পদ্মাসেতুর টোল প্লাজার কাছে রয়েছে, আরেক প্লাটুন রয়েছে শিমুলিয়াঘাটে।’

এ ব্যাপারে শিমুলিয়াঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত হোসেন জানান, যখন অ্যাম্বুলেন্স আসছে আমরা তা পার করে দেয়ার চেষ্টা করছি। আর অ্যাম্বুলেন্স পার করতে গিয়েই যাত্রীরা জোর করে উঠে পড়ছে ফেরিতে। সন্ধ্যার পরে এখন পর্যন্ত ফেরি চলাচল করার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সিদ্ধান্ত হলে জানাবো।


আরো সংবাদ



premium cement