৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


শরীয়তপুর পৌরসভা নির্বাচনে ১৮টি ভোট কেন্দ্রের ১৪টি ঝুঁকিপূর্ণ

শরীয়তপুর পৌরসভা নির্বাচনে ১৮টি ভোট কেন্দ্রের ১৪টি ঝুঁকিপূর্ণ - নয়া দিগন্ত

দ্বিতীয় ধাপে শরীয়তপুর পৌরসভার নির্বাচন শনিবার (১৬ জানুয়ারি)। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণের কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে ভোটগ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন রির্টানিং কর্মকর্তা। নির্বাচনে সার্বিক নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে পৌরসভার ১৮টি ভোট কেন্দ্রের প্রতিটিতেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা ব্যস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে ১৮টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১৪টিই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ বিভাগ। শুক্রবার দুপুরের মধ্যে নির্বাচনী কেন্দ্রগুলোতে ভোটের সরঞ্জাম পৌঁছে যাবে বলেও নির্বাচন অফিস জানিয়েছে।

এ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হয়েছেন অ্যাডভোকেট পারভেজ রহমান, বিএনপির পক্ষে প্রার্থী হয়েছেন শরীয়তপুর পৌর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান ঢালি, জাতীয়পার্টি সাহিদ সরকার প্রার্থী হয়েছেন লাঙ্গল নিয়ে, এ ছাড়াও ইসলামী আন্দোলন থেকে তানভির আহম্মেদ বেলাল প্রার্থী হয়েছেন হাতপাখা নিয়ে। ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর পৌরসভায় মোট ৩৮ হাজার ৬০০ জন ভোটার রয়েছে। এরমধ্যে ১৯ হাজার ১০০ নারী ভোটার ১৯ হাজার ৫০০ পুরুষ ভোটার রয়েছে। ইতোমধ্যে রিটানিং কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন নির্বাচনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে এ পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইভিএম সম্পর্কে এখনো অনেক ভোটারের ধারণা নেই। ভোটাররা কীভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে তা নিয়েও তাদের মধ্যে রয়েছে শঙ্কা।

প্রতিটি ওয়ার্ড ও ভোট কেন্দ্রে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের পোস্টার ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ধানের শীষের প্রার্থীর কোনো ব্যানার ও পোস্টার পৌরসভার কোথাও দেখা যাচ্ছে না।

বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান ঢালি বলেন, ‘পৌর এলাকার কোথাও প্রকাশ্যে প্রচারণায় মাঠে নামতে পারিনি। আমার কর্মী-সমর্থকরা কোথাও কোথাও প্রচারণায় নামলেও বিভিন্ন চাপ ও বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। ধানের শীষের পোস্টার ও ব্যানার কে-বা কারা ছিড়ে ফেলেছে। এই পরিস্থিতিতে আমি কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে আশা করতে পারি না। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হবো।’

আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট পারভেজ রহমান জন বলেন, ‘আমি বিভিন্ন এলাকায় জনসংযোগ করছি। দলীয় নেতা-কর্মীরা আমার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। ভোটারদের অনেক সাড়াও পেয়েছি। আমার বিশ্বাস নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। ইনশাআল্লাহ আমি বিপুল ভোটে বিজয়ী হবো।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং অফিসার মো: জাহিদ হোসেন বলেন, ‘সুষ্ঠু ভোটগ্রহণের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আশা করছি শরীয়তপুর পৌরবাসীকে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে পারবো।’


আরো সংবাদ



premium cement