০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


অপহৃত ২ বছরের শিশু ৩ দিন পর উদ্ধার

অপহৃত ২ বছরের শিশু ৩ দিন পর উদ্ধার - ছবি : সংগৃহীত

সিদ্ধিরগঞ্জের ২ বছরের এক শিশুকে অপহরণ করে বাবু আর সানজিদা। ফোনে তার বাবার কাছে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করে তারা। সেই শিশুকে ৩ দিন পর উদ্ধার করেছে র‍্যাব, আটক করেছে দুই অপহরণকারীকে।

মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় র‍্যাব ১১।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৬ সেপ্টেম্বর মো. মিজানুর রহমান (৩২) নামক এক ব্যক্তি র‌্যাবের কাছে একটি অভিযোগ করেন যে, সেদিন কতিপয় অপহরণকারীরা নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন মিজমিজি পাইনাদী এলাকায় তাদের ভাড়া বাড়ি হতে তার ২ বছর বয়সী শিশুপুত্রকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। মোবাইল ফোনে অপহরণকারী তার শিশুপুত্রকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তার কাছে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করে। অপহৃত ভিকটিম শিশুটির পিতা মো. মিজানুর রহমান পেশায় একজন পিকআপ চালক।

উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারী ও গোপন অনুসন্ধান শুরু করে। এরপর সম্ভাব্য কয়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়ে ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বন্দরের উত্তর লক্ষণখোলা এলাকা থেকে মো. ইমরান হোসেন বাবু (৩৬) এবং মোছা. সানজিদা আক্তার(২৪) নামক দুই অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে। পরে গ্রেফতারকৃত বাবুর বোনের ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত ভিকটিম শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামি বাবু নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার লক্ষণখোলা এলাকার মৃত মাজেদ হোসেনের ছেলে এবং সানজিদা বাবু’র স্ত্রী।

তাদের স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, ভিকটিমের পরিবার ও অপহরণকারীরা প্রায় এক বছর ধরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন মিজমিজি পাইনাদী এলাকায় পাশাপাশি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। পাশাপাশি বাসায় বসবাস করলেও ভিকটিমের পরিবার ও অপহরণকারীদের মধ্যে প্রতিবেশি হিসেবে কোনো পরিচয় বা ঘনিষ্ঠতা ছিল না।

মিজান ও তার স্ত্রীর ব্যস্ততাকে কাজে লাগিয়ে আসামিরা মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে কৌশলে ২৬ সেপ্টেম্বর বিকালে শিশুটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন উত্তর লক্ষণখোলা দালাল বাড়ী জামে মসজিদের পাশে বাবুর বোনের ভাড়া বাসায় জিম্মি করে রাখে। অপহরণকারীরা ভিকটিম শিশুটিকে নির্যাতন করে শিশুর মা-বাবাকে মোবাইল ফোনে কান্নার আওয়াজ শুনিয়ে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করে। এরপর তার বোনের ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত ভিকটিম শিশুটিকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা ভিকটিম শিশুটিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা এবং আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন করার কথা স্বীকার করে।


আরো সংবাদ



premium cement