কিশোগঞ্জের হোসেনপুর-পাকুন্দিয়া-ঢাকা সড়কের কাওনা ব্রিজটি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। সেই সাথে বড় গর্তেরও সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ওই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত শতশত যানবাহন, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও পথচারী চরম উৎকন্ঠায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে প্রায়ই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। তাই ব্রিজটি দ্রুত সংস্করণ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোরালো দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, হোসেনপুর-পাকুন্দিয়া সড়কের ঢাকাগামী গুরুত্বপূর্ণ কাওনা ব্রিজসহ রাস্তাটি সংস্করণের জন্য ঢাকার ডলি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘ সাড়ে তিন বছরেও এখন পর্যন্ত হোসেনপুর-পাকুন্দিয়া রাস্তা ও ভাঙা ব্রিজটি সংস্করণ করছে না ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। ফলে দেখা দিয়েছে স্থানীয় পর্যায়ে চরম ক্ষোভ ও হতাশা।
সরেজমিনে কাওনা ব্রিজ এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, ব্রিজের উপর কয়েকটি স্থানে ভেঙে ফাঁটল ধরে লোহার রড দেখা যাচ্ছে। দুর্ঘটনার কবল থেকে যানবাহন ও পথচারীকে রক্ষা করার জন্য স্থানীয়রা গর্তে গাছের ডাল ও লাল কাপড়ের নিশানা টাঙানোর ব্যাবস্থা করছেন। ওই ব্রিজটি দিয়ে ঢাকাগামী জলসিড়ি বাস, অটোরিকশা, টমটম, নসিমন, কাভার্ডভ্যান, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন ও পথচারীরা অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
এসময় জলসিড়ি বাস চালক লোকমান জানান, কাওনা ব্রিজে বাসের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখাই কঠিন ও অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে তাদের।
অটোরিকশা চালক বেলাল জানান, প্রায়ই এ ব্রিজে অটোরিকশা উল্টে গিয়ে যাত্রীরা মারাত্মকভাবে আহত হলেও দীর্ঘদিনেও প্রতিকার মিলছে না।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী এ জেড এম রাকিবুল আহসান জানান, ওই ব্রিজটি সংস্কারের জন্য ডলি কনস্ট্রাকশনকে বারবার নির্দেশ দেয়া হলেও কাজটি তারা বিলম্বিত করছে। তবে দ্রুত ব্রিজটি সংস্করণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহেল।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা