০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`


করোনায় স্কুল বন্ধু থাকায় পেয়াঁজ কাটছে শিক্ষার্থীরা

করোনায় স্কুল বন্ধু থাকায় পেয়াঁজ কাটছে শিক্ষার্থীরা - নয়া দিগন্ত

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে ১৭ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সরকার দেশরে সকল স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করেছেন। ফলে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার তেমন চাপ নেই বললেই চলে।

পড়ালেখার চাপ কম থাকায় অনেক শিক্ষার্থীই বাবা-মার কাজে সহযোগীতা করছে। রাজবাড়ীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমনই চিত্র দেখা যায়। তবে এই মুহুর্তে তারা বাবা-মার সাথে বাড়ী বসে পেঁয়াজ কাটছে। অনেকেই আবার অন্যের বাড়ীর পেঁয়াজ কেটে দিয়ে কিছু টাকা আয় করছে।

শুক্রবার সকালে সরেজমিনে কালুখালীর তোফাদিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায় ৭-৮ জন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এক জায়গায় বসে পেঁয়াজ কাটায় ব্যস্ত রয়েছে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, করোনায় কারণে দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ থাকায় আমরা নিজেদের পেঁয়াজ কাটছে। আবার যাদের নিজের পেঁয়াজ নেই তারা প্রতিবেশিদের পেঁয়াজ কেটে দিচ্ছি। এক মণ পেঁয়াজ কেটে দিলে তারা আমাদের ৩০ টাকা করে দিচ্ছেন। প্রতিদিন গড়ে ৬-৭ মন পেঁয়াজ আমরা কাটতে পারি।

পেঁয়াজ চাষি তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, এখন পেঁয়াজ ঘরে তোলার মৌসুম চলছে। পেঁয়াজ কাটার মানুষের পাওয়া খুব কঠিন। এদিকে স্কুল বন্ধ থাকায় ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা মনের আনন্দেই পেঁয়াজ কাটছে। একমণ পেঁয়াজ কাটলে আমরা তাদেরকে পেঁয়াজ অথবা মনপ্রতি নগদ ৩০ টাকা করে দিচ্ছি।
অপরদিকে তারা করোনার কারণে সচেতনতা রক্ষা করে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে মুখে মাস্ক পড়ে প্রতিনিয়ত পেঁয়াজ কেটে চলছে।


আরো সংবাদ



premium cement