০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


কলেজছাত্রের হাতের কব্জি কেটে নিলো ছাত্রলীগ!

কলেজছাত্রের হাতের কব্জি কেটে নিলো ছাত্রলীগ! - ছবি : অন্য দিগন্ত

বাবার হত্যাকারী এক আসামিকে ৮ বছর পর পুলিশে ধরিয়ে দেয়ায় হামলা চালিয়ে ওই পরিবারের লোকজনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় মামলার বাদির ছোট ভাইকে কুপিয়ে হাতের কবজি দ্বিখণ্ডিত করেও ফেলে তারা। মঙ্গলবার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়।
এ ঘটনায় আজ বুধবার থানায় অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আড়াইহাজারের কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের ইজারকান্দি গ্রামে আট বছর আগে খুন হন রব মিয়া। এ ঘটনায় মামলা করেন নিহতের ছেলে মাঈন উদ্দিন। ১৫ ফেব্রুয়ারি ওই মামলার আসামি আব্দুল্লাহ গোপনে গ্রামে এলে এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশে সোপার্দ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মঙ্গলবার ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে ইয়ানুছ আলী, রাসেল, জুয়েল, জাকির, আলী হোসেন, হালিম ও আলামিনসহ ১৫-১৬ জনের ছাত্রলীগের এক দল নেতাকর্মী বাদির বাড়িতে হামলা চালায়।

এ সময় মামলার বাদি মাঈন উদ্দিনের ঘরে ঢুকে মাঈন উদ্দিন, তার স্ত্রী, ছোট ভাই মোহাম্মদ রনি ও মা জাহানারা বেগমকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এলোপাথাড়ি কোপানোর সময় বাদির ছোট ভাই কলেজছাত্র রনির মাথায় গুরুতর আঘাত ও বাম হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে নিহত রব মিয়ার পরিবার।

তবে, সাদ্দাম হোসেন দাবি করেছেন, তিনি এই হামলার সাথে জড়িত নন। ঘটনার সময় তিনি এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর বাড়িতে ছিলেন। অন্য যাদেরকেও জড়ানো হচ্ছে তারা তার আত্মীয় স্বজন বলে স্বীকার করলেও এ হামলায় তারাও জড়িত ছিলেন না বলে দাবি করেন তিনি। এছাড়াও রব হত্যা মামলায় যে আব্দুল্লাহকে গ্রেফতার করায় ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে, সেই আব্দুল্লাহ তার চাচা হন বলে স্বীকার করেছেন সাদ্দাম হোসেন।

আড়াইহাজার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, আহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement