১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলকদ ১৪৪৫
`


পা ঞ্জা বে র রূ প ক থা

স্যার বাজ

-

চৌদ্দ.

কিছুক্ষণ পর সেই গীটার বাদককে সে বলল, ‘ভাই, তুমি তো অনেকক্ষণ ধরে গীটার বাজাচ্ছ। নিশ্চয়ই ক্লান্ত হয়ে পড়েছ। ওটা এবার আমার কাছে দাও, আমি একটু বাজাই।’
গীটার নিয়েই স্যার বাজ অপূর্ব সুর তুলল এবং মিষ্টি সুরেলা কণ্ঠে গান ধরল। সবাই সে গানে বিমোহিত হয়ে গেল। রাজা তার গান শুনে খুবই খুশি হয়ে বলল, ‘আমি তোমার গান শুনে খুবই আনন্দ পেয়েছি। আমি অবশ্যই তোমাকে এজন্য পুরস্কার দেবো। তুমি বলো, কী চাও আমার কাছে? যা চাইবে সেটি আমি তোমাকে দেবো।’
স্যার বাজ তখন রাজাকে বলল, ‘আমি শুধু আপনার কোলের ওই গোলাপ ফুলটা চাই।’
‘শুধু এই গোলাপ? তুমি আরও কিছু চাও।’
‘নাহ্ , আর কিছু না। আসলে ওই গোলাপটিও আপনার না। ওটি পড়েছে আকাশ থেকে।’
এ কথা শুনে রাজা ক্ষেপে গেল এবং গোলাপটি ছুড়ে ফেলে দিলো। গোলাপ গিয়ে পড়ল ঘরের মেঝেতে। পড়ে গোলাপের পাঁপড়িগুলো সব খুলে ছড়িয়ে পড়ল। স্যার বাজ হাঁটু গেড়ে বসে সেই পাঁপড়িগুলো কুড়াতে লাগল। কিন্তু মাত্র একটি পাঁপড়ি সে কুড়িয়ে নেয়ার আগেই সেটি ইঁদুর হয়ে ফুড়–ৎ করে দৌড়ে পালাল। স্যার বাজও নিজেকে আলোর বেগে একটা বিড়ালে রূপান্তরিত করে তার পিছু নিলো। দৌড়ে ধরে ফেলল সেটিকে এবং সাথে সাথে খেয়ে ফেলল। মরল সেই রাক্ষসটা।

এদিকে সেনাপুত্র ও রাজকুমারী রাক্ষসের ভয়ে একদিকে কম্পমান, অন্য দিকে স্যার বাজের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। এমন সময় বুম বুম শব্দ হলো। স্যার বাজ হাসিমুখে এসে তাদের সাথে করমর্দন করল, যেন সে একটা বিরাট যুদ্ধ জয় করে এসেছে। সে ওদের সব কাহিনী খুলে বলল। স্যার বাজ এবার সেনাপুত্রকে বলল, ‘মালিক, আমার মনে হয় আপনাদের এখন বাড়ি ফিরে যাওয়া উচিত। কেননা, এখনো আপনারা আপনাদের যথেষ্ট খেয়াল নেয়ার মতো বড় হননি।’
এই বলে স্যার বাজ একহাতে সেনাপুত্র ও রাজকুমারী এবং অন্য হাতে রাক্ষসের সব সঞ্চিত সোনাদানা ধনরত্ন নিয়ে উড়ে চলল সেনাপুত্রের বাড়ির পথে যেখানে তার দুঃখিনী মা তার ছেলের পথ চেয়ে বসে আছে। ছেলেকে দেখে মা যারপরনাই খুশি হলো এবং স্যার বাজের কাছে সব কাহিনী শুনে তাকে অনেক ধন্যবাদ দিলো। এরপর সেনাপুত্র তার মা আর রাজকুমারীকে নিয়ে আজীবন সুখেই কাটিয়ে দিলো। (শেষ)


আরো সংবাদ



premium cement