২১ মে ২০২৪, ০৭ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলকদ ১৪৪৫
`


নিত্যোপন্যাস

রক্তবনে আবিদ-আসমান

-

দুই.
সরফরাজ সাহেব মানে নীলয়দের দাদা সারাটা জীবন গ্রামেই কাটিয়েছেন। তিনি ছিলেন বেসরকারি কলেজের বাংলার শিক্ষক। গ্রামের পাশেই কলেজ। কোনো বদলিও ছিল না। তাই তাকে কখনো গ্রাম ছাড়তে হয়নি। এই গ্রামের জন্য তার খুব মায়া। আবিদরাও গ্রামে কাটানো সময়টুকুর কথা ভেবে বিনোদিত হয়। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে-কখন গ্রামে যাবে।
নীলয় হচ্ছে আবিদ-আসমানের চাচাত ভাই। খুব ডানপিটে। তাদের কাছে পেলে তার ডানপিটেপনা আরো বেড়ে যায়। আবিদরা এটা উপভোগ করে। দাদাও অনেক অভিযাত্রীসুলভ। তিনি বলেন, ‘আমি তামিল ভাষা অনেক ভালো জানি। কারণ আমার এক খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু শ্রীলংকায় থাকে। তিনি তামিল ভাষায় কথা বলেন। তার কারণে তার কাছে থেকে তামিল ভাষা শিখেছি।’ আবিদরা জিজ্ঞেস করে শ্রীলংকায় কীভাবে তার বন্ধুত্ব হলো। এ কথা শুনে তিনি একটা মুচকি হাসি দিয়ে বলেন, সে অনেক লম্বা কাহিনী। তিনিও চান তারা এই কাহিনী শুনতে পাক। আবিদরা অনুরোধ করলে তিনি শুরু করেন, তার গল্প বলা। তিনি বলেন : আমার বয়স যখন ৩০। তখন তোর দাদিকে নিয়ে কক্সবাজার বেড়াতে গিয়েছিলাম। তখন আমি তাগড়া জোয়ান। কোনো কিছুকে ভয় করতাম না। মনে হতো বাঘের সাথেও লড়াই করার শক্তি আমার আছে। একটু বেপরোয়া গোছের ছিলাম। তোর দাদিকে বললাম চল সাগরে নামি। তোর দাদি ভয় পায়।
(চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement