২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`
বিএফইউজে নির্বাহী পরিষদের সভা

ঈদের আগে গণমাধ্যমকর্মীদের বেতন বোনাস পরিশোধের আহ্বান

জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএফইউজে নির্বাহী পরিষদের সভায় নেতারা : নয়া দিগন্ত -

 

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে ঈদের আগে গণমাধ্যমকর্মীদের বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধের দাবি  জানিয়েছে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে অনুষ্ঠিত বিএফইউজে নির্বাহী পরিষদের সভায় এ দাবি জানানো হয়। 
বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে ও মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে সিনিয়র সহসভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, সহসভাপতি মুহাম্মদ খায়রুল বাশার ও এ কে এম মহসিন  সহকারী মহাসচিব বাছির জামাল, কোষাধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম; সাংগঠনিক সম্পাদক এরফানুল হক নাহিদ, দফতর সম্পাদক আবু বকর, প্রচার সম্পাদক শাহজাহান সাজু, নির্বাহী সদস্য শাহীন হাসনাত, মোদাব্বের হোসেন, অর্পণা রায়, মুহাম্মদ আবু হানিফ, ম হামিদুল হক মানিক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি (ডিইউজে) মো: শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, মুন্সীগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী   বিপ্লব হাসান ও সাংবাদিক ইউনিয়ন ময়মনসিংহের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।


সভার এক প্রস্তাবে দেশে সাংবাদিক নির্যাতন বেড়ে যাওয়ার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ এবং সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধে কার্যকর প্রদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়। সভায় ফেনীতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, টপ টেন মার্ট ফেনী আউটলেট উদ্বোধন করতে  ক্রিকেট তারকা তামিম ইকবাল আসবেন বলে গণমাধ্যমকে দাওয়াত দেয়া হয়। সংবাদ সংগ্রহের জন্য নির্ধারিত সময়ে সাংবাদিকরা সেখানে গেলে টপটেন কর্মীরা সাংবাদিকদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন এবং সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেন। সাংবাদিকদের সাথে তর্কের একপর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটি জেনারেল ম্যানেজার মাসুদ খানের নেতৃত্বে বিক্রয় প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর, ফেনী শাখার ম্যানেজার জামাল উদ্দিন ও নুরুল আলমসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জন টপটেন মার্ট এ কর্মরত কর্মচারী সাংবাদিকদের ওপর হামলে পড়ে। তারা সাংবাদিকদের এলোপাতাড়ি পিটাতে থাকে। এতে সাতজন সাংবাদিক আহত হন। 


এ সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানিয়ে বলা হয় সাংবাদিক নির্যাতন সরকার, সরকারি দল, সরকারি বাহিনী ও প্রভাবশালীদের রুটিন ওয়ার্কে পরিণত হয়েছে। সভায়  সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিরোধী কালাকানুন উল্লেখ করে বলা হয়, বিশ্ব ঘৃণিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নাম বদলে সাইবার নিরাপত্তা আইন নাম দেয়া হয়েছে। সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টেও নিবর্তনমূলক উপাদানগুলো রয়েই গেছে। আগের মতোই বাকস্বাধীনতা, ভিন্নমতের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ‘ব্যাপকভাবে খর্ব’ করার সুযোগ নতুন আইনেও রাখা হয়েছে।
বিশেষ করে এই আইনে পুলিশকে বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেফতারের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এখানে পুলিশ কর্মকর্তার ‘মনে করার ওপর’ নির্ভর করতে হচ্ছে। কারণ, পুলিশ কর্মকর্তা যদি মনে করেন, প্রস্তাবিত আইনের অধীনে অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে তাহলে তিনি বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি করতে পারবেন এবং প্রয়োজনে গ্রেফতারও করতে পারবেন। এটি ভয়ঙ্কর আশঙ্কা তৈরি করছে। ফলে নতুন এই আইনের মাধ্যমেও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিস্তর সুযোগ রয়ে গেছে। একই সাথে এ আইনের মাধ্যমে ডিজিটাল মাধ্যম থেকে তথ্য-উপাত্ত অপসারণ বা ব্লক করার জন্য পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষমতাও দেয়া হয়েছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে।
সভায় সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী সব কালাকানুন বাতিল, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি সব সাংবাদিক হত্যার বিচার, আমার দেশ, দিনকাল, চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত টেলিভিশন, ইসলামিক টেলিভিশনসহ বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেয়া, দাবি জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তি।


আরো সংবাদ



premium cement
বনশ্রীতে কিশোরী গৃহকর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার সৌদি আরবে আরব ও ইইউ কূটনীতিকদের গাজা নিয়ে আলোচনা ইউক্রেনকে দ্রুত প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র দিতে যাচ্ছে পেন্টাগন ডিএমপির অভিযানে গ্রেফতার ৩৯ মিয়ানমারের জাতীয় গ্রন্থাগারে বাংলাদেশ দূতাবাসের বই অনুদান ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশী প্রভুদের দাসত্ব করছে : কাদের ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু সুলতান মাহমুদকে বাঁচাতে সাহায্যের আবেদন গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি হামলায় নিহত ১৫ মুজিবনগরে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১৩ বাগেরহাটের রামপালে ট্রাকের চাপায় নিহত ৩ ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভে উত্তাল

সকল