২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বজ্রপাতে হতাহত এড়াতে আইনি নোটিশ

-

বজ্রপাতে হতাহত এড়াতে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। গতকাল মানবাধিকার সংগঠন ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির ও মোহাম্মদ কাউছার এ নোটিশ পাঠান। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক বরাবর ১৫ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে ই-মেইলে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, বজ্রপাতে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী বিশেষত কৃষক ও জেলে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে বজ্রপাতে নিহত ১৭৭ জনে মধ্যে ১২২ জনই কৃষক। সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ ও গাইবান্ধা দেশের সবচেয়ে বজ্রপাতপ্রবণ এলাকা। বজ্রপাতে নিহতের সংখ্যা এখন অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন সাইক্লোন, বন্যা, ভূমিধসে নিহতের সংখ্যার চেয়ে বেশি। গ্রামীণ এলাকার বিস্তৃত জমি, খোলা মাঠ ও খেলার মাঠ এখন বজ্রপাতের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। সরকার যদিও বজ্রপাতকে ২০১৬ সাল থেকে একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলে ঘোষণা করেছে তথাপি বজ্রপাতের ফলে হতাহতের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে এখন পর্যন্ত গৃহীত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।
নোটিশে আরো বলা হয়, বজ্রপাতে হতাহত এড়াতে পাশের দেশ নেপাল ইতোমধ্যে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশেও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বজ্রপাতের ফলে হতাহতের সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব। পদক্ষেপগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও সচেতনতা তৈরি, আগাম সতর্কতামূলক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি, হাওর-বাঁওড় এলাকায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক বজ্রপাত আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন, পামগাছ রোপণ, মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা প্রেরণ, বজ্রপাত নিরোধক যন্ত্রপাতি স্থাপন এবং বজ্রপাত থেকে বাঁচার বিভিন্ন কৌশল লিফলেট আকারে বজ্রপাতপ্রবণ এলাকায় বিতরণ করা।

 


আরো সংবাদ



premium cement