২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


প্রাণের সফলতা বন্ড মার্কেটের জন্য মাইলফলক

-

উদ্যোক্তাদের দীর্ঘমেয়াদি পুঁজি সংগ্রহে ও বেসরকারি খাতে অর্থসংস্থানের বিকল্প উৎস হিসেবে বন্ড মার্কেট অত্যন্ত সম্ভাবনাময় খাত। প্রাণ অ্যাগ্রো লিমিটেডের বন্ডের মাধ্যমে অর্থসংস্থানের এ সফলতা বন্ড মার্কেটের জন্য একটি মাইলফলক। এ ক্ষেত্রে প্রাণের দেখানো পথে আগামীতে বেসরকারি খাতের আরো অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ড মার্কেটে আসতে উৎসাহ পাবে।
গত সোমবার বিকেলে ভার্চুয়াল মাধ্যমে দেশে প্রথম আন্তর্জাতিক গ্যারান্টেড বন্ডের মাধ্যমে প্রাণ গ্রুপের অর্থ সংগ্রহের উদযাপন অনুষ্ঠানে অতিথিরা এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি প্রাণ অ্যাগ্রো লিমিটেড বন্ডের মাধ্যমে ২১০ কোটি টাকার (২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ) অরূপান্তরযোগ্য ও রিডেমবল বন্ডের লেনদেন সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। এটি প্রথম ব্লেন্ডেড ফাইন্যান্স স্ট্রাকচারড বন্ড এবং আন্তজার্তিক গ্যারান্টেড প্রথম বাংলাদেশী বন্ড। এ বন্ডে বিনিয়োগ করেছে একটি আন্তর্জাতিক বীমা কোম্পানি এবং এটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের আওতায় প্রথম ডিজিটাইড বন্ড। বন্ডের অর্থ কৃষির সাপ্লাই চেইন এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রাণ অ্যাগ্রো লিমিটেডের কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণে ব্যবহার করা হবে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, দীর্ঘমেয়াদি পুঁজি সংগ্রহে ব্যাংকের বাইরে বিকল্প উৎস হিসেবে বন্ড মার্কেট অত্যন্ত শক্তিশালী একটি খাত। বন্ড মার্কেটে আন্তর্জাতিক গ্যারান্টার ও অর্থসংস্থানকারী প্রতিষ্ঠান আসলে এ মার্কেট শক্তিশালী হবে। অন্যরাও বন্ড মার্কেটে আসতে উৎসাহ পাবে। প্রাণকে ধন্যবাদ, কেননা এ বন্ডের মাধ্যমে বিকল্প অর্থসংস্থানের নতুন দিগন্ত শুরু হলো।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেন, যুক্তরাজ্য সব সময় বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বন্ড মাকের্টের উন্নয়ন প্রয়োজন। এ মার্কেট বড় হলে আমাদের বিনিয়োগকারীরা আরো আগ্রহী হবে।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো: সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রাণ অ্যাগ্রোর বন্ড ইস্যু অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণামূলক। এটি দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দীর্ঘমেয়াদি পুঁজি সংগ্রহে উৎসাহ দেবে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, প্রাণের এই বন্ড অনুমোদন করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি আশা করি, অন্যরা প্রাণকে অনুসরণ করবে।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী বলেন, ‘বন্ড মার্কেট দেশে এখনো সেভাবে গড়ে উঠতে পারেনি। তবে আমাদের সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এটি নিয়ে কাজ করছে। আমি আশা করি বন্ড মার্কেট বাংলাদেশে অনেক দূর এগিয়ে যাবে এবং কোম্পানিগুলো এখান থেকে প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান পাবে’।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গর্ভনর আহমেদ জামাল, গ্যারান্টকোর অন্তবর্তীকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমিলি বুশবি, গ্যারান্টকোর এশিয়া অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিশাত কুমার, মেটলাইফ বাংলাদেশের জেনারেল ম্যানেজার আলা উদ্দিন আহমেদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি।


আরো সংবাদ



premium cement