৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


রাজাপুরে ৩ প্রতিবন্ধীর ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ

-

ঝালকাঠির রাজাপুরের গালুয়া ইউনিয়নের ৫ নং পুটিয়াখালী ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন মোল্লার বিরুদ্ধে ৩ প্রতিবন্ধীর ৩ মাসের মাসিক ভাতা উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, পুটিয়াখালি গ্রামের আব্দুস সোবাহান হাওলাদারের ছোট মেয়ে রেকসোনা মানসিক প্রতিবন্ধী। সোবাহান নিজে স্ট্রোক করে দীর্ঘদিন ধরে বিছানায়। একমাত্র ছেলে মাথায় টিউমার হয়ে মারা গেছেন। বড় মেয়েও স্ট্রোক করায় ২ সন্তান নিয়ে বাবার সংসারেই আছেন। ঘরটিও জরাজীর্ণ। রেকসনার মা হনুফা বেগম ভিক্ষা করে সংসার চালান। হনুফা বেগমের অভিযোগ, ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন মোল্লা গত জুলাই মাসে রেকসোনার প্রতিবন্ধী ভাতার ৯ হাজার টাকা উত্তোলন করে হনুফা বেগমকে ৩ হাজার টাকা দেন। বাকি ৬ হাজার টাকাই আত্মসাত করেন তিনি।
একই গ্রামের মুনসুর আলীর ছেলে মানসিক প্রতিবন্ধী খোকন। সে থাকে বোন শাহিদা বেগমের কাছে। খোকন প্রতিবন্ধী ভাতা বাবাদ একটি টাকাও পায়নি। শাহিদা বেগম অভিযোগ করে বলেন, কার্ড নিয়ে বর্তমান মেম্বর ফারুক মোল্লার কাছে গেলে তিনি কোনো টাকা পয়সা আসেনি জানিয়ে খোকনকে ব্যাংকে নিয়ে টিপসহি রেখে একটি একাউন্ট করে দেন। খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি ভাই খোকনের নামে যে টাকা আসছে তা ৩ মাস আগেই ফারুক মোল্লা উঠিয়ে নিয়ে গেছেন।
গ্রামের অপর আরেক মানসিক প্রতিবন্ধী মীর ইউনুছ আলী। থাকেন ভাই মীর আফজাল হোসেনের কাছে। আফজাল হোসেনের অভিযোগ, মীর ইউনুছ আলীর কার্ডটি এক্টিভ করতে বর্তমান ইউপি সদস্য ফারুক মোল্লার কাছে গেলে তিনি ভাতা বই করার জন্য ৩ হাজার টাকা নেন। পরে আবার ব্যাংকে একাউন্ট করতে ৫শ’ টাকা নেন। এরপর থেকে যতবারই তার কাছে খোজ নিতে যাই ততবারই তিনি বলেন, টাকা আসেনি, আসলেই পাবেন। পরে মীর আফজাল হোসেন খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন সব টাকা উঠিয়ে নিয়েছেন মেম্বর।
একই গ্রামের শ্রজীবী বেলায়েত হোসেনের স্ত্রী রেহেনা বেগম অভিযোগ করে জানান, ফারুক মেম্বর ভিজিডি কার্ড করার কথা বলে ৩ হাজার টাকা চাইলে তাকে ২৫শ টাকা দেয়া হয়। ২ বছর মেয়াদী কার্ডের ৩ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো তিনি কোন কার্ড পাননি। মেম্বরের কাছে গেলে সবসময়ই অপেক্ষা করার কথা বলেন। ভুক্তভোগী পরিবারগুলো গরীবের টাকা আত্মসাতকারী ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন মোল্লার বিচার দাবি করছেন।
তবে অভিযুক্ত ৫ নং পুটিয়াখালী ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন মোল্লা টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সিম্পুর্ণ অস্বীকার করে বলেন, রেকসনা, খোকন ও ইউনুসের টাকা তাদের স্বজনরা উত্তোলন করে নিয়েছে। স্থানীয় প্রতিপক্ষরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছেন।


আরো সংবাদ



premium cement