সেপ্টেম্বরের আগেই ব্যাংকের নগদ লভ্যাংশ পাবেন পুঁজিবাজারের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। একই সাথে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দেয়া হবে।
গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ফজলে কবিরের সাথে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বৈঠকে ব্যবসায়ীদের দেয়া ব্যাংকের সুদ স্থগিতের সুবিধাটি পুঁজিবাজারের ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠান ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো পাওয়ার বিষয়ে একমত পোষণ করা হয়েছে। মূলত এসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরে শিবলী রুবাইয়াত গভর্নর ফজলে কবিরের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে যান গতকাল। কিন্তু বৈঠকে এসব বিষয়ও আলোচনায় উঠে আসে।
বৈঠকের আলোচিত বিষয়ে শিবলী রুবাইয়াত বলেন, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা যাতে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে ক্যাশ (নগদ) ডিভিডেন্ড পায়, সেজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে সহযোগিতামূলক নির্দেশনা আসতে পারে। সেপ্টেম্বরের আগে কোনো ব্যাংক নগদ লভ্যাংশ বিতরণ করতে পারবে না। কিন্তু ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য ছাড় দেয়া হতে পারে। এ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ইতিবাচক আশ্বাস দিয়েছেন।
এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে কোনো ধরনের সহযোগিতার প্রয়োজন হলে বিএসইসি দিতে প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।
বৈঠকের আলোচিত বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো: সিরাজুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকগুলো গত হিসাব বছরের জন্য এবার কোনো লভ্যাংশ দিতে পারবে না। আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব লভ্যাংশ বিতরণ স্থগিত করা হয়েছে। গভর্নরের কাছে বিএসইসির চেয়ারম্যান ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য বিষয়টি নমনীয় করার দাবি করেছেন। এতে সম্মতি দিয়েছেন গভর্নর।
সিরাজুল ইসলাম আরো জানান, বৈঠকে আরো দু’টি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবজারে ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে গঠিত তহবিল তদারকি ও প্রয়োজনে তারল্য সহায়তা অব্যাহত রাখার বিষয়ে ঐকমত্য হয়। আর জুন পর্যন্ত ব্যবসয়ীদের সুদ ব্লক হিসাবে রাখার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। এই সুবিধা এখন মার্কেট ইন্টারমিডিয়াটারিরা পাবে। পরে এক বছরের যেকেনো সময়ে এই সুদ তারা পরিশোধ করবে। ফলে এখন থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোও সুদ স্থগিতের সুবিধাটি পাবে।
জানা গেছে, করোনাকালীন ঋণ সঙ্কট মোকাবেলায় বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসি নিবিড়ভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ কাজটিকে সামনে আগাতে দুই পক্ষেরই একজন করে ফোকাল পয়েন্ট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যারা প্রতি মাসেই একে অপরের সাথে পরামর্শমূলক বৈঠক করবেন এবং সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মে করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকের বার্ষিক লভ্যাংশ (ডিভিডেন্ট) ঘোষণার সংক্রান্ত নতুন নীতিমালা জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মূলধন সংরক্ষণের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ নগদসহ মোট ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে ব্যাংকগুলো। তবে ২০১৯ সালের সমাপ্ত বছরের ঘোষিত লভ্যাংশ ৩০ সেপ্টেম্বরের আগে বিতরণ করা যাবে না বলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা