সারা দেশে যখন ডেঙ্গুতে মানুষ ভুগছেন, প্রতিদিন মানুষের প্রাণহানি ঘটছে তখন ড্রেন ও বাসাবাড়ির জমা ময়লা পরিষ্কার না করার কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পৌরসভার বসবাসরত মানুষজন। ড্রেন পরিষ্কার না করায় পৌরবাসীর চলাচলেও সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা যায়, সাভার পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের সাভার নিউ মার্কেট থেকে চাপাইন সড়কটি দীর্ঘ দিন থেকে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী। এ পথে প্রায় সময়ই যানবাহন উল্টে মানুষ আহত হচ্ছে। অন্য দিকে সাভার উদয়ন অ্যাকাডেমি এলাকায় সড়কটির ড্রেন পরিষ্কার না করায় পানি জমে থাকার কারণে মানুষ চলাচল করতে পারছে না। ইতোমধ্যে স্কুলের ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতি কমে গেছে।
এই জমা পানিতে মশার উপদ্রব লক্ষ করার মতো। সারা দেশে যখন মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে, তখন সাভার পৌর কর্তৃপক্ষের এ জমা পানি সরানোর কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় এবং মশার ওষুধ না ছিটানোর কারণে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। সাভারে প্রশাসন ও বিভিন্ন সংগঠন বাসস্ট্যান্ডসহ মহাসড়কে ডেঙ্গু গণসচেতনতামূলক র্যালি ও প্রচারপত্র বিলি করলেও পাড়া-মহল্লার বাসাবাড়িতে এ ব্যাপারে কোনো সাড়া মেলেনি। কোরবানির ঈদের পর থেকে সাভার পৌরসভার বাসাবাড়ির জমা ময়লা সরিয়ে না নেয়ায় মশামাছির উপদ্রবে ঘুমাতেও পারছেন না পৌরসভায় বসবাসকারী মানুষজন। আর এসব ময়লা থেকে জীবাণুবাহী মশা ও কীটপতঙ্গ ছড়িয়ে সাভার পৌর এলাকার ডগরমোড়া, ব্যাংক কলোনিসহ বিভিন্ন স্থানের স্কুল-কলেজ, বাসাবাড়ি ও অফিসসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ঢুকে পড়ছে। এতে মানুষের শরীরে সহজেই রোগব্যাধি দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দা। তারা অভিযোগ করেন, দ্রুত ড্রেন পরিষ্কার ও বাসাবাড়ির ময়লা সরিয়ে নেয়ার জন্য পৌরসভাকে অবহিত করলে মাঝে মধ্যে লোক পাঠালেও তাদের অতিরিক্ত টাকা প্রদান করতে হয়। আবার অনেক সময় তারা আসেও না।
সাভার পৌরসভার বাসাবাড়ির জমা ময়লা সরানোর সুপারভাইজার আদম আলী জানান, ঈদে পরিচ্ছন্নকর্মীরা ছুটিতে যাওয়ার ফলে ময়লা সরিয়ে নিতে দেরি হচ্ছে। তারা ছুটি থেকে এলে দ্রুত ময়লা সরিয়ে নেয়া হবে।
সাভার পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্বাস উদ্দিন জানান, ডগরমোড়া সংযোগ সড়কে কাজ করার কারণে পানি সরতে সমস্যা হচ্ছে। সাভার উদয়ন অ্যাকাডেমির প্রধান শিক্ষক মো: হারুন জানান, আমাদের স্কুলের সামনে ডগরমোড়া সড়কটিতে দীর্ঘ দিন থেকে পানি জমে থাকার কারণে স্কুলের ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতি কমে গেছে।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের ডা: সামছুন্নাহার জানান, আমাদের হাসপাতালে শুক্রবার পর্যন্ত ৭৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতরদের ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। অনেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরত গেছেন। তিনি আরো জানান, আগের তুলনায় ডেঙ্গু রোগী এখন কম ভর্তি হচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা