০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


রাবিকে সাজাতে ৫০ বছরের মাস্টার প্ল্যান

-

রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাসের তথ্য সংগ্রহ করার লক্ষ্যে মিডিয়া সেন্টার, ভবিষ্যৎ প্রজন্মও তথ্য সংরক্ষণে আর্কাইভ প্রতিষ্ঠা, গবেষণা জালিয়াতি রোধে প্লেগারিজম সফটওয়্যারসহ ঢেলে সাজাতে আগামী ৫০ বছরের জন্য প্রস্তাবিত একটি মাস্টার প্লান প্রণয়ন করেছে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন। এর মধ্যে ছয়টি একাডেমিক ভবনের নাম পরিবর্তন, ৩৬৪ কোটি টাকার উন্নয়নকাজসহ বেশ কিছু ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করেছেন তারা। রোববার দুপুরে বিশ^বিদ্যালয় সিনেট ভবনে মাস্টার প্ল্যান কমিটির আয়োজনে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান প্ল্যান কমিটির আহ্বায়ক প্রোভিসি প্রফেসর ড. চৌধুরী মো: জাকারিয়া।
মাস্টার প্লান কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. চৌধুরী মো: জাকারিয়ার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভিসি প্রফেসর ড. এম আব্দুস সোবহান বলেন, বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরে ১৯৬২ সালে একটি মাস্টার প্ল্যান করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সব প্লানের এখন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই মিডিয়া সেন্টার স্থাপন করে বিশ^বিদ্যালয়ের তথ্য সংগ্রহ করে যথাযথভাবে ক্যাম্পাসের কর্মকাণ্ডকে সুচারুরূপে তুলে ধরা হবে। আর এ জন্যই মাস্টার প্ল্যানে মিডিয়া সেন্টারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ সময় তিনি এই সিদ্ধান্তকে সময়োপযোগী বলে মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক প্রফেসর ড. প্রভাষকুমার কর্মকারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন প্রোভিসি প্রফেসর ড. আনন্দকুমার সাহা, কোষাধ্যক্ষ ড. এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান আল আরিফ।
মতবিনিময়পর্বে মাস্টার প্ল্যান কমিটির সদস্য ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. মো: রেজাউর রহমান বলেন, ৫০ বছরের মাস্টার প্ল্যানটিকে তিন ক্যাটাগরিতে তৈরি করা হয়েছে। প্রথমত ২০১৯-২৩ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছর মেয়াদি, দ্বিতীয়ত ২০২৪ থেকে ২০৪৩ পর্যন্ত ২০ বছর এবং ২০৪৩ থেকে ২০৬৭ থেকে ২৫ বছর মেয়াদি ছয়টি জোনে বিশ^বিদ্যালয়টির পরিকল্পনা করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আবাসিক ভবন, ক্রীড়া, একাডেমিক ভবন, কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোন ও ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বর্ধনে বিভিন্ন জোন। এ ছাড়াও মাস্টার প্লানে রয়েছে, বিজ্ঞান জাদুঘর, প্রাকৃতিক ইতিহাস জাদুঘর, সীমানা প্রাচীর সংস্কার, আধুনিক পরিবহন গ্যারেজ ও যাত্রী ছাউনি এবং তৃতীয় প্রশাসন ভবন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ^বিদ্যালয় রেজিস্ট্রার প্রফেসর এম এ বারী, প্রক্টর প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান, ছাত্র-উপদেষ্টা প্রফেসর ড. লায়লা আরজুমান বানু, ডিন, সিনেট সদস্য, হল প্রাধ্যক্ষ ও বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষক।

 


আরো সংবাদ



premium cement