ছাগলনাইয়ার যুবলীগ নেতা সাবেক স্ত্রীর হাতে হোটেলে খুন

ফেনী নদীর দুই পাড়ের বাসিন্দা শুভ ও পপি। আত্মীয়তার সূত্রে প্রেমের সম্পর্ক গড়িয়ে চার বছর আগে গোপনে বিয়ে করেছিলেন তারা। মেয়ে পক্ষের তুলনায় শুভদের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়Ñ এ অভিযোগে পরিবারের চাপে পপির পক্ষ থেকে তাদের বিচ্ছেদ করা হয়। বিবাহ বিচ্ছেদ হলেও দুইজনের মধ্যে সম্পর্ক থেকে যায় বলে জানিয়েছেন নিহতের স্বজনেরা। এক সময় বিত্তশালী বাবার মেয়ে রোকসানা আক্তার পপি (২৭) ডাক্তারি পড়ার জন্য চীন চলে যান। মাসখানেক আগে পপি সাবেক স্বামী ফেনীর ছাগলনাইয়ার শুভপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি মাইনুদ্দিন শাহরিয়ার শুভর (৩০) কাছে তার অতীত ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে বাংলাদেশে আসার জন্য দুই লাখ টাকা নিয়েছিলেন। এরই মধ্যে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়েরই আরেক যুবকের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন পপি। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। পপি চীন থেকে দেশে এলে গত বৃহস্পতিবার পপিকে রিসিভ করে চট্টগ্রামে নিয়ে যান শুভ। এরপর ওই দিন গভীর রাতে চট্টগ্রামের খুলশী থানার ফয়’স লেকের লেকভিউ আবাসিক হোটেল থেকে শুভর গলাকাটা মাথা বিচ্ছিন্ন লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম খুলশী থানা পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পরপরই নিহতের স্বজনেরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়টি জানান। গতকাল সকালে চট্টগ্রামের ২ নম্বর গেটের আলফালাগলি এলাকা থেকে পপিকে আটক করে ডিবি পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পপি তার প্রেমিক শুভকে একা খুন করার কথা স্বীকার করেছেন। ডাক্তারি পড়–য়া রোকসানা আক্তার পপি জোরাগঞ্জ থানার বারইয়ারহাট মেহেদী নগর গ্রামের আবু আহম্মদের মেয়ে। নিহত শাহরিয়ার শুভ ছাগলনাইয়া উপজেলার ৯ নম্বর শুভপুর ইউনিয়নের বালিচর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। খুলশী থানার ওসি শেখ মো: নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, এটি একটি হত্যাকাণ্ড।