ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌর এলাকার আলীয়াবাদ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার বন্ধের দাবিতে এলাকাবাসী ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী বরাবর।
জানা যায়, নবীনগর উপজেলার একমাত্র মডেল স্কুল আলীয়াবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। ১৯৩৯ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টিতে প্রথমদিকে চার গ্রামের শিক্ষার্থীরা এবং বর্তমানে আলীয়াবাদ ও জল্লা গ্রামের শিক্ষার্থীদের একমাত্র স্কুল এটি। বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় জায়গা ও ক্লাস সংকট ছিলো দীর্ঘদিনের। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত ও এলাকাবাসীর আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার একটি ভবন বরাদ্দ করেন। এলজিইডি এর তত্ত্বাবধানে ভবন নির্মাণ করার জন্য এ প্রকল্পের আওতায় ৯৪ লাখ ১২ হাজার ৯০৪ টাকা চুক্তিমূল্যে আরএস কনস্ট্রাকশন কাজটি পেয়ে নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
ওই বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজে ২ নাম্বার ইট, বালুসহ নিম্নমানের সামগ্রি ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। নির্মাণ কাজে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার বন্ধের দাবিতে এলাকাবাসী ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী বরাবর।
এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নবীনগর শাখার সভাপতি রেজাউল করিম সবুজ বলেন, প্রথমে বিষয়টি উপসহকারি প্রকৌশলী মো: আবদুল কাইয়ুম সরেজমিনে এসে ২ নাম্বার ইটের খুয়া ভাঙতে নিষেধ করে যান ঠিকাদারকে। কিন্তু ওই নিষেধ উপেক্ষা করে নিম্নমানের সামগ্রি দিয়ে কাজ করতে থাকেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। তিনি আরো বলেন, নিম্নমানের সামগ্রি ব্যবহার করার সময় আমি বাঁধা দিলে, আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দিবে বলে উল্টো হুমকি প্রদান করেন প্রতিষ্ঠানটির সত্ত্বাধিকারী সোহেল মিয়া। এ বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়সহ বিদ্যালয়ের কমিটিকে জানিয়েছি।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রভাষক মো: হুমায়ুন করিব বলেন, এখানে নিম্নমানের কাজ হচ্ছে। নির্মাণ কাজে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার বন্ধের দাবিতে এলাকাবাসী ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছি উপজেলা প্রকৌশলী বরাবর।
এ ব্যাপারে আর এস কনস্ট্রাকশনের ঠিকাদার সোহেল মিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কোন নিম্নমানের সামগি দিয়ে কাজ করছি না। আমি কাউকে হুমকিও দেইনি।
উপসহকারি প্রকৌশলী আবদুল কাইয়ুম বলেন, ওই নির্মাণ কাজে কিছু অনিয়ম হয়েছে, নিম্নমানের সামগ্রি সরিয়ে নিয়ে ঠিকাদারকে সিডিউল মোতাবেক কাজ করার নির্দেশনা দিয়ে এসেছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী নূরুল ইসলাম অভিযোগপ্রাপ্তি স্বীকার করে বলেন, এই ঠিকাদার অনেক ঝামেলা তৈরি করছে। অনিয়ম করার কোন সুযোগ নেই। সিডিউল মোতাবেক কাজ করতে হবে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে ওই বিদ্যালয়ের সামনে গতকাল ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম এই নিম্নমানের ইট দেখে অসন্তোস প্রকাশ করে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীকে বলা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা