২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বান্দরবানে বন্যার্ত পরিবারগুলোর দুর্ভোগ চরমে

টানা পাঁচদিন যোগাযোগ বন্ধ, আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে বাড়ছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট
-

বান্দরবানে প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। জেলা শহরের দশটি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৩০০০ বন্যার্ত পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্র জায়গার সংকুলান হচ্ছে না।

এদিকে সাংগু-মাতামুহুরী ও বাঁকখালী নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় টানা পাঁচ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে বান্দরবানের সাথে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ। অন্যদিকে জেলা শহরের সাথে তিন উপজেলা রুমা, রোয়াংছড়ি, থানছি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় রাঙ্গামাটি জেলার সাথেও বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

জেলা শহরের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি এলাকা এখন পানির নিচে। জেলা শহরের বাস স্টেশন, ইসলামপুর, ওয়াবদা ব্রিজ, আর্মি পাড়া মেম্বার পাড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় সাঙ্গু নদীর পানি প্রবেশ করায় এসব এলাকার তিন হাজারেরও বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জেলা শহরে বিদ্যুৎ বিভাগের দুটি উপকেন্দ্রে নদীর পানি প্রবেশ করায় গত দুদিন থেকে জেলা শহর ও রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচি উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় জেলা শহর ও উপজেলাগুলোতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম দ্রুত বাড়ছে। আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে পর্যাপ্ত খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি না থাকায় দুর্ভোগ চরমে আকার ধারণ করেছে।

ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক শফিউল আলম জানিয়েছেন বান্দরবানের সাতটি উপজেলায় ১৩১টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ইতিমধ্যে ১০০ মেট্রিক টন চাল ও ৭০০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ইতিমধ্যে সাড়ে ৪শ’ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য ও নগদ সাত লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে বলে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন।

এদিকে প্রবল বর্ষণে বান্দরবানের মন জয় পাড়া এলাকায় শনিবার সন্ধ্যায় পাহাড়ি ঝিরি পার হতে গিয়ে মংশৈ মারমা নামের এক ব্যক্তি খবর স্রোতে ভেসে গেছে। তাকে এখনো উদ্ধার করা যায়নি।


আরো সংবাদ



premium cement