২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


না ফেরার দেশে এসিড দগ্ধ মালা

-

প্রায় দু’মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর এসিডদগ্ধ তানজিম আক্তার মালা (১৬) মারা গেছেন। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর সিটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয় তার। হাসপাতালটির বার্ন ইউনিটের প্রধান অধ্যাপক মো. শহিদুল বারী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তানজিম ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের মো. হেলাল রাঢ়ীর মেয়ে। এসিডে তানজিমের শ্বাসনালি পুড়ে যাওয়ার পাশাপাশি এক চোখ, এক কান ও নাকের খানিকটা গলে যায়। আরেক চোখের অবস্থাও ভালো ছিল না। মুখ থেকে বুকের নিচ পর্যন্ত গভীরভাবে দগ্ধ হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন তানজিমের শ্বাসনালিসহ শরীরের ২৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
এর আগে গত ১৪ মে দিবাগত রাতে নিজের ঘরে ঘুমন্ত তানজিম (১৬) ও তার ছোট বোন মারজিয়ার (৭) উপর এসিড ছুড়ে মারে মহব্বত হাওলাদার নামের এক তরুণ। পরদিন ভোলা সদর মডেল থানায় তানজিমের মা মামলা করেন। বর্তমানে ওই তরুণ কারাগারে আছে।
জানা গেছে, এ বছর এসএসসি পাস করেছে তানজিম আক্তার মালা। তানজিমের বাবা মো. হেলাল রাঢ়ী চট্টগ্রামে রং মিস্ত্রির কাজ করেন। দুই ছেলে ও তিন মেয়েকে নিয়ে তার স্ত্রী ভোলায় থাকেন। তানজিম ভোলা থেকে এসএসসি পাস করে। ঘটনার দুই মাস আগে মুঠোফোনে রং নম্বরের মাধ্যমে মহব্বত হাওলাদার (১৯) নামে ওই তরুণের সঙ্গে তানজিমের পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
গ্রেফতারের পর ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে এসিড মারার কথা স্বীকার করে মহব্বত জানায়, ভোলা সরকারি কলেজে অর্থনীতি বিষয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করছে সে। তানজিমের সঙ্গে তার মোবাইলে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের প্রেম হয়। জীবনের প্রথম প্রেম হিসেবে তানজিমকে সে ভীষণ ভালোবাসে। কিন্তু কয়েকদিন পর সে জানতে পারে তানজিমের সঙ্গে আরও দু’জনের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে।
ফলে সে তানজিমের ওপর ভীষণ ক্ষিপ্ত হয়। সিদ্ধান্ত নেয় অ্যাসিড নিক্ষেপের পর মালাকে কেউ বিয়ে করতে রাজি হবে না। ব্যাটারি চার্জের দোকান থেকে এসিড সংগ্রহ করে সে। এরপর গভীর রাতে বাইসাকেল চালিয়ে তানজিমের বাড়ি যায়। জানালা খোলা পেয়ে ঘুমন্ত তানজিমের ওপর এসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায় মহব্বত। সেই এসিডে ঝলসে যায় তানজিম ও তার ছোট বোন মার্জিয়া।
এদিকে ঘটনার পর পরই আহতদের স্বজনরা এসিড নিক্ষেপের জন্য একই বাড়ির ফারুকের ছেলে রাজিবকে সন্দেহ করে মামলা দেয়। ওই সময় তানজিমও জানায়, রাজিব তাকে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমর প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ব্যর্থ রাজিব এই কাজ করেছে। এ ঘটনায় রাজিবের বাবা ফারুক রাঢ়িকে গ্রেফতারও করে পুলিশ।
তবে নির্দোষ রাজিবের পরিবার প্রকৃত ঘটনা বের করতে পুলিশকে নানা তথ্য দেয়। পাশাপাশি ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনুসন্ধান চালিয়ে এ ঘটনায় মহব্বতের সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ।
পরে সন্দেহজনক আসামি হিসেবে গ্রেফতারের পর ২৬ মে মহব্বত হাওলাদার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে এসিড মারার কথা স্বীকার করেন। এখন তিনি কারাগারে আছেন


আরো সংবাদ



premium cement
নোয়াখালীতে হিট স্ট্রোকে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু ভূমি সেক্টরে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে ভূমিমন্ত্রীর নির্দেশ বাইপাস সার্জারির জন্য কৃত্রিম রক্তনালী তৈরির চেষ্টা হামাসকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরাইলি প্রস্তাব বিবেচনার আহ্বান যুক্তরাজ্যের প্রথমবারের মতো সিরি-এ ম্যাচে ছিলেন সব নারী রেফারি ফেনীতে তাপদাহে তৃষ্ণা মেটাতে শিবিরের পানি-স্যালাইন বিতরণ ২৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বাংলাদেশে যাদের ইলমে দীন অর্জনের সৌভাগ্য হয়েছে, তারাই প্রকৃত ধনী ৩৩ ইসরাইলির মুক্তির বিনিময়ে গাজায় ৪০ দিনের অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব ইসরাইলের ‘টেকসই প্রস্তাব’ কী হবে হামাসের প্রতিক্রিয়া উইলিয়ামসনের নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা নিউজিল্যান্ডের

সকল