০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ভাঙা কালভার্টে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন

-

ভেঙে গেছে কালভার্ট। কার্পেটিং, ইট-খোয়া উঠে তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। গর্ত এড়িয়ে যানবাহন চলছে এঁকেবেঁকে। কোথাও কোথাও সড়কের দুইধার ভেঙে সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছে। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা, ব্যাহত হচ্ছে কৃষিপণ্য ও মালামাল পরিবহন। ফলে এলাকাবাসীসহ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পরিবহন চালক, যাত্রী ও পথচারীরা। বলছি কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার দোল্লাই নোয়াবপুর ইউনিয়নের ‘নবাবপুর-কালিয়ারচর বাজার’ সড়কের কথা। ভাঙা কালভার্টে পড়ে ইতোমধ্যে আহত হয়েছেন অনেক পথচারী।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় দুই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে নবাবপুর-কালিয়ারচর সড়কে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। হেঁটে চলাচলের অযোগ্য। সড়কের নাটিঙ্গী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে একটি কালভার্টের ছাদের অংশ ভেঙে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিদিন ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল করছে যানবাহন ও এলাকাবাসী। শুধু ভেঙে যাওয়া অংশই নয় পুরো কালভার্টি এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ ছাড়া এই সড়কে থাকা আরো দুইটি কালভার্ট অনেক ঝুঁকিপূর্ণ।
স্থানীয় বাসিন্দা ফরহাদ হোসেন বলেন- ‘শিক্ষার্থীদের এ সড়ক ধরেই গল্লাই কমপ্লেক্স, নবাবপুর সরকারি কলেজসহ আশপাশের স্কুলে যেতে হয়। গর্তটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। তাই দ্রুত সমস্যা সমাধান ও নতুন কালভার্ট নির্মাণে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানান তিনি’।
স্থানীয় বিল্লাল হোসেন বলেন- নবাবপুর ও গল্লাই এই দুই ইউনিয়নের ৭-৮টি গ্রামের মানুষ মাঠের ফসল, হাটবাজার ও উপজেলা সদরে যাওয়ার একমাত্র এই সড়কেই ভরসা। এছাড়া পার্শ্ববর্তী কচুয়া উপজেলার ৪-৫টি গ্রামের মানুষের যাতায়াত এই সড়ক দিয়ে। দুই উপজেলার হাজারো মানুষের যাতায়াত ঝুঁকিমুক্ত করতে সড়ক ও কালভার্ট সংস্কার অতীব জরুরি।
দোল্লাই নোয়াবপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান মিয়া বলেন, কালভার্টের সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের উপজেলা প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলাম বলেন, কালভার্ট ভাঙার বিষয়টি সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। রাস্তা সংস্কারে অনেক আগেই বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কেনো সংস্থার কাজ শুরু হচ্ছে না তা বলতে পারছি না। তবে কাজ যাতে দ্রুত শুরু হয় সে বিষয়ে ঊর্ধ্বতনের সাথে কথা বলে পদক্ষেপ নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement