১৮ মে ২০২৪, ০৪ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫
`


প্রচণ্ড তাপদাহেও দিনাজপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেচ প্রকল্পগুলো সচল

দিনাজপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি সেচ প্রকল্প : নয়া দিগন্ত -

দেশে চলমান তীব্র দাবদাহে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়াসহ বিদ্যমান প্রচণ্ড খরায় পুড়ছে ফসলের ক্ষেত। নিয়মিত সেচ দিয়েও ফসল রক্ষা করতে হিমশিম খাচ্ছেন কৃষক। এমন পরিস্থিতিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দিনাজপুরে, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় অঞ্চলের এলএলপি সেচ প্রকল্পগুলো সচল রয়েছে। নদীর পানি উত্তোলন করে তারা সেচ প্রদান করছেন প্রকল্প এলাকার ক্ষেতগুলোতে। এতে প্রকল্প এলাকার নিরবচ্ছিন্নভাবে সেচ দিতে পারায় হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন কৃষকরা। অন্য কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ভালোভাবেই তাদের উৎপাদিত ফসল ঘরে তুলতে পারবেন, এমনটিই আশাবাদ ব্যক্ত করছেন প্রকল্প অঞ্চলের কৃষকরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, নদীর পানিপ্রবাহ অনেকাংশে কমে গেলেও বৃহত্তর দিনাজপুরের বেশ কয়েকটি সেচ প্রকল্প এখনো চালু রয়েছে। এগুলোর মধ্যে পঞ্চগড় জেলার আহম্মদনগর ২ ও ৩ হালকা সেচ প্রকল্প, ইলেকট্রিক ব্লক এলএলপি-৩, ঠাকুরগাঁও জেলার খড়িবাড়ি হালকা সেচ প্রকল্প, দিনাজপুর জেলার গৌরীপুর হালকা সেচ প্রকল্প-২, ইলেকট্রিক ব্লক এলএলপি-৪, ৫ ও ৬ চালু থাকায় নিয়মিতভাবে সাশ্রয়ী মূল্যে প্রকল্পভুক্ত কৃষকদের বোরো ধান ক্ষেতসহ অন্যান্য ফসলে সেচ প্রদান করা হচ্ছে।
জেলার বোদা উপজেলার ফুলতলা এলাকার আহম্মদনগর-৩ হালকা সেচ প্রকল্পের পানি ব্যবস্থাপনা দলের সভাপতি রফিজ উদ্দিন জানান, আমাদের আশপাশের এলাকায় পানির স্তর অনেক নিচে নেমে যাওয়ার কারণে অনেক গভীর নলকূপও বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে সেচ দিতে না পারায় উঠতি বোরো ধান নিয়ে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন অনেক কৃষক। কিন্তু আমাদের সেচ প্রকল্পটি চলছে করতোয়া নদী থেকে পানি উত্তোলন করেই। আমাদের প্রকল্পভুক্ত এলাকার কৃষকরা নিরবচ্ছিন্নভাবেই জমিতে সেচ প্রদান করতে পারছেন। আর আমাদের সেচ খরচ অনেক কম হওয়ায় কৃষকরাও অধিক লাভবান হচ্ছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠাকুরগাঁওয়ের উপ-প্রধান সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রফিউল বারী জানান, নদীর পানিপ্রবাহ কমে যাওয়ায় অনেক সেচ প্রকল্প বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় সেচ পাম্পগুলোও অকেজো হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। এগুলো মেরামত করে বৃহত্তর দিনাজপুরের কয়েকটি প্রকল্প চালু করা হয়েছে। ফলে, তীব্র তাপদাহের মধ্যে পানির স্তর নিচে নেমে গেলেও এসব প্রকল্প থেকে উপকার পাচ্ছেন কৃষকরা।


আরো সংবাদ



premium cement