১৮ মে ২০২৪, ০৪ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫
`


পাকুন্দিয়ায় কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিত করাটাই বড় চ্যালেঞ্জ : চূড়ান্ত লড়াইয়ে ৫ প্রার্থী

-

আগামী ৮ মে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রতীক পেয়ে প্রার্থীরা পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ও মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গণসংযোগ, পথসভা, উঠান বৈঠক করে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
এই উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক, সাবেক দুইবারের ইউনিয়ন পারিষদ চেয়ারম্যান সাবেক ভিপি কামাল উদ্দিন। নির্বাচনে বেশ ভালো অবস্থানে থেকেও দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন তিনি। এ ছাড়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যক্ষ আবুল কাশেম বিপ্লব। তিনিও দলের সিদ্ধান্তে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। এমন পরিস্থিতিতে ভোটের দিন কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিত করাটাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত নির্বাচনে এ উপজেলায় মাত্র ২৭ শতাংশ ভোট পড়েছিল। যদিও প্রার্থীরা বলছেন ভোটার উপস্থিত করার ব্যাপারে তারা কাজ করছেন।
উপজেলাটিতে আটজন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেও বর্তমানে পাঁচ প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনু (মোটর সাইকেল), সদ্য পদত্যাগ করা পাটুয়াভাংগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক জুটন (আনারস), মরহুম সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম শামসুল হক গোলাপ মিয়ার ছেলে এ কে এম দিদারুল হক দিদার (দোয়াত কলম), আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মোখলেছুর রহমান বাদলের ছোট ভাই উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এ কে এম হাবিবুর রহমান চুন্নু (হেলিককপ্টার) এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আলহাজ মকবুল হোসেন (কই মাছ)।
বর্তমান চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনু টানা দুইবার এই উপজেলায় প্রতিনিধিত্ব করছেন। এ ছাড়াও তিনি দুইবার সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছিলেন। আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তৃণমূলের জনপ্রিয়তায় গত নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
সদ্য পদত্যাগকারী ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদুল হক জুটন আনারস প্রতীকে নির্বাচন করছেন। চূড়ান্ত লড়াইয়েও বেশ সারা জাগিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে এখানকার মানুষ এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে তাকে বেছে নেবেন। এই উপজেলায় পাঁচ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মোটরসাইকেল প্রতীকের বর্তমান চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনু এবং আনারস প্রতীকের এমদাদুল হক জোটনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লাড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে একাধিক প্রার্থীর অভিযোগ, স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন (আনারস) প্রতীকের প্রার্থী এমদাদুল হক জুটনের পক্ষে কাজ করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিচ্ছেন এবং পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন বলেন, এই নির্বাচনে আমি কোন হস্তক্ষেপ করিনি। কোনো প্রার্থীর পক্ষে কথাও বলিনি। বর্তমানে আমি বেশির ভাগ সময় ঢাকায় কাটাচ্ছি। এলাকার কোনো কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হচ্ছি না।
এ উপজেলায় ৮৫টি কেন্দ্রে মোট ভোটার রয়েছে দুই লাখ ২৪ হাজার ৬৬৯ জন। তন্মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ১১ হাজার ৬৬৫ এবং নারী ভোটার রয়েছে এক লাখ ১২ হাজার চারজন। আগামী ৮ মে স্বচ্ছ ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।


আরো সংবাদ



premium cement