০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`


কুয়াকাটায় রাখাইন সম্প্রদায়ের সাংগ্রাইন উৎসব শুরু

-

কুয়াকাটায় জলকেলির মধ্য দিয়ে রাখাইন সম্প্রদায়ের নববর্ষের সাংগ্রাইন উৎসব শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার রাখাইন মার্কেট চতুরে নববর্ষ জলকেলির মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাইন উৎসব শুরু হয়।
কেরানীপাড়া সাংগ্রাইন উৎসব কমিটি কর্তৃক এ জলকেলি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ ছাড়াও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে বাড়িতে বাড়িতে ফুল দিয়ে সাজানো, বৌদ্ধ বিহারে মোমবাতি প্রজ্বলন এবং প্রার্থনা করা, নতুন পোশাক পরে প্রতিবেশীর বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেখা সাক্ষাৎ করা প্রভৃতি নানা কর্মসূচির আয়োজন চলে।
রাখাইনরা জানান, তাদের নববর্ষের উৎসবের নাম সাংগ্রাইন। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে তারা বিভিন্ন আনন্দ ও উৎসবের মধ্যে দিয়ে নতুন বর্ষকে বরণ করে নেন। এ উৎসবের প্রধান আকর্ষণ পানি খেলা। অনুষ্ঠানে উচান চিন মাতুব্বরের সভাপতিত্বে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালেব তালুকদার, কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কুয়াকাটা পৌর সভাপতি ও কুয়াকাটা পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল বারেক মোল্লা, কারিতাস বরিশাল অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক ফ্রান্সিস বেপারী।

অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে রাখাইন সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েরা মেতে উঠে ঐতিহ্যবাহী জলকেলিতে। দেখা যায়, নৌকায় রাখা পানি থেকে রাখাইন তরুণ-তরুণীরা একে অপরের গায়ে পানি ছিটিয়ে দিচ্ছে। ফুল দিয়ে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। এ সময় রাখাইনদের নিজস্ব সংস্কৃতি, নাচেগানে সবাইকে মাতিয়ে রাখা হয়। সাংগ্রাইন উৎসব আজ ২০ এপ্রিল শেষ হবে।
কেরানীপাড়ার উচো রাখাইন বলেন, পুরনো দুঃখকে ভুলে নতুন বছরে ভালো কিছু করার প্রত্যয় নিয়ে জলকেলিতে সবাই অংশ নেয়। একটি বছর আমরা অপেক্ষা করি এমন দিনের জন্য।
শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারের পরিচালক ইন্দ্র বংশ ভান্তে বলেন, উৎসবকে ঘিরে রাখাইন পাড়ায় সাজ সাজ রব বয়ে যায়। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে বিভিন্ন পাড়া থেকে রাখাইনরা এ পাড়ায় এসে সমবেত হয়। পুরনো পাপ জলকেলির মাধ্যমে ধুয়ে মুছে নতুন বছর ভালোভাবে শুরু করার প্রত্যয় থাকে জলকেলিতে।


আরো সংবাদ



premium cement