০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ভালো ফলনে খুশি চাষিরা

শরীয়তপুরে বৃদ্ধি পাচ্ছে ভুট্টার আবাদ

-

স্বল্প ব্যয় ও কমঝুঁকিতে ভালো ফলন পাওয়ায় শরীয়তপুরের চরাঞ্চলে প্রতি বছরই বাড়ছে উচ্চমূল্যের ফসল ভুট্টার আবাদ। গত বছরের তুলনায় এবার জেলায় ২৮৮ হেক্টর বেশি জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। ফলন ও বাজারমূল্য ভালো থাকায় ভুট্টাচাষিরা বেশ খুশি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে ভুট্টা সহজে আবহাওয়ার সাথে খাপখেতে পারে বলে একফসলি জমিকে দুই ফসলি ও দুই ফসলি জমি তিন ফসলি জমিতে পরিণত হচ্ছে। এতে কৃষকরা বেশি লাভবান হচ্ছেন। শরীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ও স্থানীয় ভুট্টা চাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, খোরপোশ কৃষিকে বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরিত করতে প্রণোদনাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছে কৃষি বিভাগ। গত বছর জেলায় ৫২৫ হেক্টরে ভুট্টার আবাদ হলেও এবার আবাদ হয়েছে ৮১৩ হেক্টরে। বিঘায় আবাদ খরচ ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। ফলন ভালো হলে বিঘায় ৩৫ থেকে ৪০ মণ। যার বর্তমান বাজারমূল্য ৭৫ থেকে ৮০ হাজার টাকা। ভুট্টা আবাদে সার, কীটনাশক ও সেচ কম লাগায় কেবল কৃষকদের অর্থনৈতিকভাবেই লাভবান করে না, ধান ও গমের চেয়ে ১১ শতাংশ আমিষ ও ভিটামিন 'এ' সমৃদ্ধ ভুট্টা বহুমুখী খাদ্যপণ্যে ব্যবহারসহ গোখাদ্য ও জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। শরীয়তপুর সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের বাছারকান্দি গ্রামের কৃষক আলমগীর হোসেন খান বলেন, কৃষি বিভাগের পরামর্শে এ বছরই এক একর ৬০ শতক জমিতে ৭৫ হাজার টাকা খরচ করে ভুট্টার আবাদ করেছি। এ জমিতে আগে কোনো ফসলেরই ভালো ফলন পেতাম না। ফলন বেশ ভালো হয়েছে। আশা করছি দুই লাখ ২৫ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারব। অনেক কৃষকই আমার কাছ থেকে ভুট্টা চাষের পরামর্শ নিচ্ছেন।

জাজিরা উপজেলার পালেরচর ইউনিয়নের ইয়াছিন আকন কান্দি গ্রামের কৃষাণী শাহনাজ আক্তার বলেন, গত বছর তিন বিঘা জমিতে ৩০ হাজার টাকা খরচ করে ভুট্টা আবাদ করে দেড় লাখ টাকা বিক্রি করেছি। তাই এবার সাড়ে ৬ বিঘায় আবাদ করেছি। কৃষি বিভাগের পরামর্শে পেঁয়াজের সাথে ভুট্টা আবাদ শেষে আবার পাট আবাদ করতে পারছি।
শরীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) রিয়াজুর রহমান বলেন, ভুট্টা আবাদে কৃষকদেরকে মাঠপর্যায়ে কারিগরি সহায়তাসহ সার্বক্ষণিক পরামর্শ প্রদান করে যাচ্ছি। ভুট্টা শিশুখাদ্য, কনফেকশনারী, গোখাদ্য, পোলট্রি ও ফিস ফিডসহ বহুমুখী খাদ্যপণ্যে ব্যবহার হওয়ায় বাজারব্যবস্থাও বেশ ভালো। ভুট্টার আবাদ সম্প্রসারণের ধারা অব্যাহত রাখতে পারলে আমদানি নির্ভরতা অনেকাংশেই কমে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে বলে আমরা আশাবাদী।


আরো সংবাদ



premium cement