২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সোনাতলায় রেলের জায়গা দখল পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ

-

বগুড়ার সোনাতলা রেলওয়ে স্টেশনের জায়গা দখল করে সেখানে মাটি ভড়াটের কারণে উপজেলা পরিষদ ও শহরের একমাত্র পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এ ঘটনায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা প্রশাসন এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। দখলদারেরা প্রভাবশালী হওয়ায় এ বিষয়ে কেউ কথা বলছে না।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সোনাতলা রেলওয়ে স্টেশন থেকে হাসপাতাল রোড পর্যন্ত এলাকায় রেলের সম্পত্তিতে দু’টি পুকুর ছিল। বিভিন্ন সময় পুকুর দু’টি রেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিজ নিয়ে মাছ চাষ করতেন ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে সেখানে পুকুর দু’টি নেই। সেগুলো মাটি ভরা করে ভূমিসমতল করা হয়েছে। কারা ভরাট করেছে, এ নিয়ে অভিযোগের তীর সোনাতলা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিস্টার ও সোনাতলা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা মোস্তাক আহমেদ লিটনের বিরুদ্ধে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করে মিজানুর রহমান মিস্টার বলেন, ওই স্থানে আমার কোনো জায়গা নেই এবং আমি মাটিও ফেলিনি। এদিকে মোস্তাক আহমেদ লিটনের সাথে ফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সরেজমিনে দেখা যায়, পুকুর ভরাট করার কারণে উপজেলা পরিষদ সন্নিকটে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের পাশ দিয়ে পানি নিষ্কাশনের একমাত্র ড্রেনটির গতিমুখ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বর্ষা মৌসুমে উপজেলা পরিষদ চত্বরসহ শহরের বৃহদাংশ ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের দাবি অতি দ্রুত দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে বর্ষা মৌসুমে চরম দুর্ভোগে পড়বে এলাকাবাসী।

সোনাতলা রেল স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার শ্রী বাসুদেব বলেন, মাটি ভরাটের বিষয়ে আমরা ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। বাংলাদেশ রেলওয়ে বগুড়া কার্যালয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদা পারভিন বলেন, আমরা রেল কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেছি। সোনতলা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম আকন্দ নান্নু বলেন, অবৈধভাবে মাটি ভরাটের কারণে আমাদের পৌরসভার পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হবে। আমরা উপজেলা প্রশাসন ও রেল কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানিয়েছি, অতি দ্রুত যেন দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement