মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা হিল ফরেস্টে ১০ হেক্টর বনভূমিতে বনায়নে খাসিয়াদের দায়ের করা মামলা খারিজ হওয়ায় অবশেষে সামজিক বনায়ন কার্যক্রম শুরু করেছে বন বিভাগ। গত শনিবার সকাল থেকে শতাধিক শ্রমিক সামাজিক বনায়নে বৃক্ষরোপণ শুরু করেন। দুই মাস কাজ বন্ধ থাকার পর আবার বৃক্ষরোপণ করতে পারায় উপকারভোগী সদস্যরা খুবই আনন্দিত।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ভাটেরা সংরক্ষিত বনাঞ্চলের আওতাধীন কালিয়ারআগা এলাকায় পতিত ১০ হেক্টর বনভূমিতে এলাকাবাসীর অংশগ্রহণে ২০২১-২২ অর্থবছরে সামাজিক বনায়ন সৃষ্টির লক্ষ্যে গত নভেম্বর মাসে ২৫ হাজার চারা রোপণ করা হয়। বনায়নের নির্ধারিত স্থানে দুই মাস আগে চারা রোপণ শুরু করে বনবিভাগ। কিন্তু স্থানীয় খাসিয়ারা আদালতে বনায়নকৃত জায়গার মালিকানা দাবি করে রিট করলে আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেন। পরে বনবিভাগ ওই রিটের বিপক্ষে আপিল করলে আদালত খাসিয়াদের মামলা খারিজ করে দেন।
বনায়নের উপকারভোগীরা জানান, কালিয়ারআগা এলাকায় পতিত ২৫ একর বনভূমি কখনো খাসিয়াদের দখলে ছিল না। স্থানীয় বাসিন্দা খয়রুল আমিন চৌধুরী টিপুর দখলে থাকা জায়গা তিনি বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করলে সেখানে সামাজিক বনায়নের উদ্যোগ নেয় বনবিভাগ। অথচ বনায়নের এ জায়গা থেকে খাসিয়াদের আবাসস্থল অর্থাৎ বছিলাছড়া পানপুঞ্জির দূরত্ব ৩ কিলোমিটার। খাসিয়াদের বাধায় সময়মতো রোপণ করতে না পারায় ২৫ হাজার চারার মধ্যে অর্ধেক চারা মরে গেছে।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন জানান, ভাটেরা হিল ফরেস্টের কালিয়ার আগা বনভূমিতে বনায়ন করতে গেলে খাসিয়ারা বাধা দেয় এবং আদালতে স্বত্ব মামলা দায়ের করে। বনবিভাগ মামলার জবাব ও আপত্তি দাখিল করে। গত ১০ আগস্ট আদালত উভয়ক্ষের শুনানি গ্রহণ করে খাসিয়াদের মামলাটি না-মঞ্জুর করেন। যার ফলে আইনগত কোনো বাধা না থাকায় গত শনিবার থেকে সামাজিক বনায়ন শুরু করা হয়েছে। স্থানীয় ভূমিহীন, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্য থেকে কমপক্ষে ২৫ জন উপকারভোগী নিয়োগ করা হবে। তারা এ বাগান পাহারা, রক্ষণাবেক্ষণ ও মেয়াদ শেষে সামাজিক বনায়ন বিধিমালা মোতাবেক তাদের অংশ পাবেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা