৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বাড়ির গেটে ঝুলছে থোকায় থোকায় আঙুর

-

বরিশালের মুলাদীতে সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল জলিল খানের বাড়ির গেটের ওপর লতানো গাছে ঝুলছে থোকায় থোকায় আঙুর। আঙুরের চাষ করে সবার নজর কেড়ে নিয়েছেন এ বাড়ির লোকেরা। বিশেষ করে তার ছেলে মহিবুল আসান খোকনের জন্য বেশ শ্রম দিয়েছেন। এ বাড়ির গেটের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য মাধবীলতা, মর্নিংগ্লোরি, বাগান বিলাসসহ বিভিন্ন ধরনের ফুলের পাশাপাশি আঙুর গাছ লাগিয়ে তারা সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। এ বাড়ির পাঁচ বছর বয়সী শিশু শাইরা আহসান হেরার বায়না ধরে আঙুর গাছ লাগানোর জন্য। তার আবদার পূরণ করতে গিয়ে ফুলগাছের সাথে আঙুর গাছ লাগনো হয়। পরিচর্যা করার এক পর্যায়ে ফুল ধরে আঙুর গাছে। ফুল থেকে এক সময় ধরতে থাকে থোকায় থোকায় ফল।
যারা দেখতে আসছেন তাদেরকে মন ভরে আঙুর খাওয়াচ্ছেন তারা। বিভিন্ন ধরনের ফুল আর থোকায় থোকায় আঙুর ফলে গেটটি দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠেছে। মুলাদী উপজেলার কোথাও আঙুর গাছের চাষ হতে দেখা যায়নি। কেউ শখ করে গাছ লাগিয়ে থাকলেও ফল মিষ্টি না হওয়ায় এক সময় আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। আব্দুল জলিলের বাড়িতে আঙুর ফল দেখার জন্য প্রতিদিন গাছপ্রেমিকদের ভিড় জমে থাকে। আগামীতে কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে আরো আঙুর গাছ লাগাবেন বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেজাউল হাসান বলেন, মুলাদী উপজেলায় আঙুর গাছ চাষ করার পরিবেশগত উপযোগিতার অভাব রয়েছে। তবে শখের বশে চাষ করা যেতে পারে। তবে আঙুর ফল মিষ্টি হওয়ার জন্য কিছু পন্থা অবলম্বন করে দেখা যেতে পারে। গাছে ফল আসার এক মাস আগে ১০ কেজি ২০০ গ্রাম এমওপি সার ও ১৫০ গ্রাম ডিএপি সার দিতে হবে। গাছের গোড়া থেকে এক মিটার দূরে চার দিকে নালা করে নালার ভিতরে বর্ষার শেষে ১০০ গ্রাম এমওপি সার, ১৫০ গ্রাম ডিএপি সার, এক কেজি খৈল পচা ১০ গুণ পানিতে মিশিয়ে গাছের গোড়ায় দিয়ে নালা বন্ধ করে দিতে হবে এবং নিয়মিত সেচ দিতে হবে। এতে করে ফলন ভালো ও ফল মিষ্টি হতে পারে।

 


আরো সংবাদ



premium cement