২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গজারিয়ায় মহাসড়কের জায়গা দখল করে দোকানপাট

ভবেরচর বাসস্ট্যান্ডে সওজের জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা দোকানপাট: নয়া দিগন্ত -

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়ার ভবেরচর বাসস্ট্যান্ডের দু’পাশেই চলছে দখলদারদের দৌরাত্ম্য। ভবেরচর সেতু থেকে ডানে বামে তাকালেও দেখা যাবে মহাসড়কের পাশের জায়গা কিভাবে দখলে নিয়েছে কিছু অসাধু ব্যক্তি। পাখির মোড় এলাকায়ও দোকান, বসতঘর ও বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এভাবে মহাসড়কের জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে শত শত দোকান। অথচ দখলদারদের ব্যাপারে সড়ক ও জনপথের (সওজ) নিষ্ক্রিয়তা দেখে মনে হয় সওজের কোনো জায়গাই নেই মহাসড়কের দু’পাশে। একটার পর একটা জায়গা দখল করে নিচ্ছে প্রভাবশালীরা।
সরেজমিন দেখা যায়, মহাসড়কের দুই ধারের ফুটপাথ দখল করে নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। পূর্ব পাশ ফলের দোকান, ফাস্টফুটের দোকান, সিঙ্গারা-পুরীর দোকানে ভরে গেছে। পশ্চিম দিকেও গড়ে উঠেছে ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের অস্থায়ী সব দোকান। দিনভর ক্রেতাদের ভিড়ে দুর্ভোগের শিকার হন সাধারণ যাত্রী ও মহাসড়কে চলাচল করা গাড়ি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সওজকে টাকা দিয়েই তারা এসব দোকান বসিয়ে ব্যবসা করছেন।
মহাসড়কের জায়গায় শত শত দোকানের কারণে পরিবহনে যাত্রী ওঠানামায়ও চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় সব সময়। এখানে হাইওয়ে পুলিশের উপস্থিতিও তেমন লক্ষ করা যায় না। মাঝে মধ্যে দেখা গেলেও অবৈধ দোকান উঠিয়ে ব্যবসা বন্ধে তাদের কোনো ভূমিকা পরিলক্ষিত হয় না। এখানে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হয় যাত্রী ও মালবাহী গাড়ি। এক মাসের মধ্যে কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। এখানে সাধারণ যাত্রীদের পারাপারের জন্য কোনো জেব্রা ক্রসিংয়ের ব্যবস্থাও করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ভবেরচর স্ট্যান্ডের ব্রিজের নিচে বালু ভরাট করে সরকারি খালের জায়গা দখল করে নেয়ার পরে এবার দোকান ওঠানোর ধুম পড়ে গেছে। সরকারি জায়গায় যত্রতত্রভাবে দোকান ঘর উত্তোলন করা হচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসন ও সড়ক জনপথ কর্তৃপক্ষকে জানালেও তাদের একটাই বক্তব্য- অভিযোগ দিলে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সরকারি জায়গা দখল হয়ে গেলেও তাদের কোনো মাথাব্যথা না থাকার বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে সাধারণ জনগণকে। ভবেরচর স্ট্যান্ডের অনেকে অভিযোগ করে বলেন, অভিযোগ দিলে কী হবে? তদন্তে আসবেন প্রশাসনের লোকজন। কয়েক দিন কাজ বন্ধ থাকবে। এরপর আবার কাজ আরম্ভ হবে এবং দখল হয়ে যাবে।
মহাসড়কজুড়ে এভাবে দোকান বসায় যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন ও সড়ক ব্যবহারকারীরা। দ্রুত অবৈধ সব দোকান উচ্ছেদ করে সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করা একান্ত জরুরি বলে মন্তব্য করেন গজারিয়া উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি।
সড়ক ও জনপথ মুন্সীগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী ইকবাল জানান, জুন ক্লজিং ও করোনার কারণে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়নি। তবে জুলাই থেকে অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement