৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ পুঠিয়াবাসী

-

শীতের আমেজ শেষ হতে না হতেই রাজশাহীর পুঠিয়ায় মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন স্থানীয়রা। বদ্ধজলাশয় ও নর্দমায় আবর্জনার স্তূপ ঠিক মতো পরিষ্কার না করায় মশার উপদ্রব বেড়েছে কয়েক গুণ। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিবছর বাজেটে মশা নিধনে মোটা অঙ্কের বরাদ্দ থাকলেও রহস্যজনক কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয় না। তবে বিগত বছরের চেয়ে এবার মশার উপদ্রব অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয়রা ডেঙ্গু আতঙ্কে ভুগছেন।
সূত্র জানায়, উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভায় মশা নিধনের একাধিক ফগার মেশিন রয়েছে। বছরে ২-১ দিন উপজেলা পরিষদ চত্বরে ওষুধ ছিটানো হলেও ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডগুলোতে কখনোই মশা নিধন কার্যক্রম চালানো হয়নি। অপর দিকে পুঠিয়া পৌরসভা গঠনের ২০ বছর পার হলেও সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত পৌরবাসী। নিয়মিত এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা, সড়ক বাতি স্থাপন, পানি নিষ্কাশন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও মশক নিধন কার্যক্রম চালু রাখার নিয়ম থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।
এ দিকে পৌরসভা গঠনের পর দীর্ঘ ১৪ বছর প্রশাসক ও প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর নির্বাচিত মেয়র দায়িত্ব পালন করছেন। অথচ এখনো পৌরবাসী মশা নিধনের কোনো সুবিধাই পাননি বলে অভিযোগ তাদের।
পৌর মেয়র আল-মামুন খান বলেন, মশক নিধনে সরকার আমাদের এখনো পর্যন্ত কোনো বরাদ্দ দেয়নি। বরাদ্দ এলে কার্যক্রম শুরু করব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাস বলেন, বদ্ধজলাশয় ও অপরিষ্কার নর্দমার কারণে মশার উপদ্রব বাড়বে এটা স্বাভাবিক। মশক নিধন কার্যক্রম পরিচলনা করবে পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ। আর উপজেলা পরিষদে মশা নিধনের ফগার মেশিন আছে। কোনো চেয়ারম্যান চাইলে আমরা সে ফগারগুলো সরবরাহ করব।


আরো সংবাদ



premium cement