১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলকদ ১৪৪৫
`


সুনামগঞ্জে প্রতিবেশীর ছেলেকে ভারতে নিয়ে হত্যা

-

ভারতে গরু পাচারকারীরা মঞ্জুল হক (২২) নামে এক প্রতিবেশী যুবককে ভারতে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে। সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় এ ঘটনা ঘটে। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সে সীমান্তবর্তী উত্তর বংশীকুণ্ডা ইউনিয়নের মাজেরচড়া (বাঙ্গাল ভিটা) গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে।
স্বজন ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, মঞ্জুল হক ২২ জুন দুপুরে তার প্রতিবেশী বাচ্ছু মিয়ার চায়ের দোকানে কেরম খেলছিল। এর কিছুক্ষণ পর তার প্রতিবেশী গরু পাচারকারী চক্রের হোতা তাহের আলীর ছেলে ফরিদ (২৪), লতিফ মিয়ার ছেলে লাদেন (২০) ও মুনসুর মিয়ার ছেলে বাবু (২০) মঞ্জুল হককে বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে ভারতে নিয়ে যায়। ওই দিন বিকাল ৫টায় ভারতের মাঝের চড়া বিএসএফ ক্যাম্প পাড়ি দিয়ে ভারতের প্রায় তিন কিলোমিটার ভেতর গহিন জঙ্গলে একটি গর্তের ভেতর নিয়ে যায় মঞ্জুলকে। প্রথমে ফরিদ মিয়া দেশীয় শর্টগান দিয়ে মঞ্জুল হকের কোমরে গুলি করে। পরে তিনজন মিলে রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করলে মঞ্জুল হকের শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় পড়ে থাকে।
এর ঘণ্টাখানেক পর গুরুতর আহত মঞ্জুল হকের জ্ঞান ফিরে এলে তার পাশে মোবাইল ফোনের রিংটোন শুনতে পায়। আহত মঞ্জুল মোবাইল রিসিপ করে খুনি তিনজনের নাম উল্লেখ করে এবং তার বর্তমান অবস্থান জানায়। পরে ওই ব্যক্তি মঞ্জুলের স্বজনদের জানানোর পর মঞ্জুলের চাচা আবু সায়েদ, বড় ভাই জয়নাল হক ও মামা জাহেদ আলী গঠনাস্থলে গিয়ে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে। দ্রুত তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা চলা অবস্থায় ২৪ জুন বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে মধ্যনগর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, নিহত মঞ্জুল হক গরু চুরি করতে গিয়ে দলের লোকজনের সাথে ঝগড়ায় অথবা ভারতের কোনো সন্ত্রাসীর গুলিতে আহত হয়ে থাকতে পারে। পরে বাংলাদেশে তার মৃত্যু হয়। সম্পূর্ণ ঘটনা ভারতে, মামলা যদি করতে হয় তাহলে ভারতে করতে হবে। আমাদের এক্তিয়ারের বাইরে।

 


আরো সংবাদ



premium cement