২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আগৈলঝাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া টাকা পাননি কর্মহীন অনেকে

-

ঈদের এতদিন পরও মোবাইল ফোন অ্যাকাউন্টে প্রধানমন্ত্রীর উপহার আড়াই হাজার টাকা পাননি অসহায় ও কর্মহীনদের অনেকে। তালিকা প্রস্তুতকারীদের কারণে এসব দুস্থ ও কর্মহীনরা বঞ্চিত হচ্ছেন বলে মনে করছেন অনেকে। করোনা মোকাবেলায় লকডাউনের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট লাঘবে সারা দেশে অসহায়, দুঃস্থদের তালিকা করতে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। ঘোষণা অনুযায়ি বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে কর্মহীন অসহায়-দুস্থ ছয় হাজার ৭৪০ জন দরিদ্র শ্রমজীবী পরিবারের তালিকা করে ইউনিয়ন পরিষদগুলো।
তালিকা অনুযায়ী রাজিহার ইউনিয়নে এক হাজার ৪৮৪ জন, বাকাল ইউনিয়নে এক হাজার ৮২১ জন, বাগধা ইউনিয়নে এক হাজার ৪১৫ জন, গৈলা ইউনিয়নে এক হাজার ২৮১ জন ও রতœপুর ইউনিয়নে এক হাজার ২৮১ জন দরিদ্র পরিবারের নাম তালিকাভুক্তি হয়। চেয়ারম্যানদের দেয়া সেই তালিকা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস থেকে উপজেলা তথ্যপ্রযুক্তি অফিসের সহকারী প্রোগ্রামার আমিনুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠান। গত ঈদের আগে তালিকা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত তহবিল থেকে ঈদ শুভেচ্ছা হিসেবে মেসেজ আসে। নগদ, বিকাশ, রকেট সার্ভিসের মাধ্যমে তারা দুই হাজার ৫০০ টাকা করে পান। তবে তালিকার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ লোক বার্তা না পাওয়ায় কোনো টাকা পাননি।
এ বিষয়ে বাকাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিপুল দাস জানান, রোজার ঈদের আগে স্বল্প সময়ের মধ্যে তালিকা প্রণয়ন করে তারা উপজেলা প্রশাসনের কাছে জমা দিয়েছেন। কিছু লোক ঈদের আগেই টাকা পেয়েছেন, তবে বেশির ভাগ লোকই এখনো টাকা পাননি। কী কারণে টাকা পাচ্ছেন না তারও কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি চেয়ারম্যান।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে তালিকা উপজেলা তথ্যপ্রযুক্তি অফিসের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। কী কারণে প্রত্যেকে টাকা পাচ্ছেন না বিষয়টি তার জানা নেই।
উপজেলা তথ্য ও প্রযুক্তি অধিদফতরের উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী মাঠপর্যায় থেকে তালিকা তৈরি করে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অর্থ মন্ত্রণালয় সেই তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কোম্পানির (বিটিসিএল) কাছে পাঠিয়ে থাকে। বিটিসিএল তালিকায় ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র ও দেয়া মোবাইল নম্বরটির মালিকানায় মিল না থাকায় টাকা তারা পাচ্ছেন না বলে মনে করছেন তিনি।
আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী রওশন ইসলাম বলেন, যারা এখনো টাকা পাননি হয়তো তাদের ভোটার আইডি কার্ড বা মোবাইল নম্বরে ভুল হয়েছিল। সেই ভুলগুলো সংশোধন করে আবার একটি তালিকা পাঠানো হবে। সংশোধিত তালিকা মন্ত্রণালয়ে গেলে তালিকাভুক্ত সবাই টাকা পাবেন বলে জানান রওশন ইসলাম।


আরো সংবাদ



premium cement