বরগুনার আমতলীতে শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ তুমুল বৃষ্টিতে অন্তত অর্ধকোটি কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে। এতে ২৩টি ইটভাটায় প্রায় পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতি হওয়ার দাবি করেন ভাটামালিকরা। করোনাভাইরাসের প্রভাবে এই সময়ে বৃষ্টির ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবে না বলে আশঙ্কা করছেন তারা। দ্রুত তারা সরকারের কাছে সহায়তার আশা করেন।
জানা গেছে, আধা ঘণ্টা তুমুল বৃষ্টিতে উপজেলার ২৩টি ইটভাটার অন্তত অর্ধকোটি কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে। মালিকরা জানান, দুইভাবেই ইটভাটার মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এক দিকে কাঁচা ইট নষ্ট হয়েছে অন্য দিকে নষ্ট ইট অপসারণে টাকার প্রয়োজন। নষ্ট ইট অপসারণ করতে না পারায় অনেক ভাটা বন্ধের উপক্রম হয়েছে। নষ্ট ইট অপসারণ না করা পর্যন্ত নতুন ইট তৈরি করা যাবে না। তারা আরো জানান, বৃষ্টির কারণে স্বাভাবিক সময়ের দুই সপ্তাহ আগেই ইট পোড়ানো বন্ধ হয়ে যাবে। এতে ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে না।
রোববার জিমি, সাউথ, কেএবি, আরএএবি, সাগর, আকন, মুন্সি, ঢাকা, মা, আরএনটি, এএটি, এনবিএম ও তৌহিদ ইটভাটা ঘুরে দেখা গেছে, নষ্ট ইট মাটির সাথে মিশে আছে।
কেএবি ভাটার মালিক হাসান মৃধা বলেন, দুই লাখ কাঁচা ইট বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে প্রায় ১২ লাখ টাকার ক্ষতি হবে। আরএএবি ভাটার মালিক হারুন আর রশিদ আকন বলেন, দেড় লাখ কাঁচা ইট নষ্ট হয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে দেড় শ’ শ্রমিকের কাজ বন্ধ ও নতুন ইট তৈরি বন্ধ রয়েছে। সব মিলিয়ে অন্তত ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
সাউথ ইটভাটার ম্যানেজার মোশাররফ হোসেন বলেন, বৃষ্টিতে যে ক্ষতি হয়েছে তা এ বছর পুষিয়ে উঠা যাবে না। আমাদের ভাটায় অন্তত দেড় লাখ কাঁচা ইট নষ্ট হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা