২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কুলাউড়ায় চিকিৎসা দিতে প্রস্তুত ৬৫ সদস্যের মেডিক্যাল টিম

-

কুলাউড়ায় কর্মরত ডাক্তারদের নিরাপদ থেকে রোগীদের সেবা দিতে সরকারিভাবে বরাদ্দ না পাওয়ায় স্থানীয়ভাবে ৩৫টি পিপিই (পারসোন্যাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট) বরাদ্দ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মেনে পূর্ণ ব্যবহারযোগ্য চিকিৎসার সুরক্ষা পোশাক পাওয়ায় চিকিৎসকরা নিরাপদে চিকিৎসা দিতে সক্ষম হচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পুরো জেলায় স্বাস্থ্য বিভাগে ৫০০ চাহিদার বিপরীতে বরাদ্দ এসেছে মাত্র ১০০ পিপিই।
করোনা আক্রান্তদের জরুরি চিকিৎসা সেবা দিতে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার ও স্টাফদের নিয়ে ৬৫ সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়েছে। টিমের মধ্যে রয়েছেন ডাক্তার ২৫ জন, সেকমো ১০ জন, সেবিকা ১০ জন, ওয়ার্ড বয়, আয়া ও সুইপার ১০ জন। ওই টিমের সব সদস্যের সুরক্ষায় পিপিই সেট কেনার জন্য কুলাউড়া উপজেলা পরিষদ থেকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তহবিল থেকে বিশেষ বরাদ্দের আওতায় শুধু চিকিৎসকদের ৩৫ পিস পিপিই উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে দেয়া হয়। প্রতি সেট পিপিইর মূল্যে ধার্য করা হয় এক হাজার ২০০ টাকা।
চিকিৎসক টিমের প্রতি সদস্যের জন্য জার্মস রুট, গ্লাভস, মাস্ক, গগলস, ক্যাপ ও বুটসহ পিপিই সেট সংগ্রহ করা হয়েছে। ৬৫ সদস্যের টিমের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে প্রতি সাত দিন করে ১০ জনের টিম দায়িত্ব পালন করবে। একটি টিমের দায়িত্ব পালন শেষে অপর ১০ জনের টিম কাজ শুরু করবে এবং দায়িত্ব পালনকারী টিমের সব সদস্যকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে।
কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: নুরুল হক জানান, করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্য বিভাগ প্রস্তুত রয়েছে। ইতোমধ্যে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের কাছে ৩৫ পিস পিপিই এসেছে। চিকিৎসকদের মধ্যে পিপিইগুলো বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সফি আহমদ সলমানের পরিচালনাধীন শহরস্থ কুলাউড়া পল্লী ক্লিনিককে মঙ্গলবার থেকে আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ২০ বেডের ক্লিনিকে ইতোমধ্যে আইসোলেশন সেন্টার তৈরির কাজ সম্পন্ন করে ব্যানার টানিয়ে দেয়া হয়েছে।
কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী জানান, দুর্যোগকালীন মুহূর্তে তারা চিকিৎসকদের রক্ষায় কোনো পিপিই পাননি। কিন্তু এ মুহূর্তে চিকিৎসকদের সুরক্ষায় পিপিই খুবই প্রয়োজন। কারণ তারা সুরক্ষিত না থাকলে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হবে। সেই চিন্তা থেকে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তহবিল থেকে তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার মতামতের ভিত্তিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মেনে তারা পিপিই তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন। ইতোমধ্যে ৩৫ জন চিকিৎসককে পিপিই দিয়েছি। বাকি সেবিকাদেরও পর্যায়ক্রমে দেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে অংশীদার হওয়া উচিত : শি জিনপিং ওকাব সভাপতি নজরুল ইসলাম, সম্পাদক জুলহাস আলম পাবনায় ১০ কোটি টাকার অনিয়মে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে চুয়েট ১১ মে পর্যন্ত বন্ধ, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে শিশুর মৃত্যু হিলিতে ভটভটি-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২ ‘গাজার ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করতে ১৪ বছর লাগতে পারে’ সখীপুরে ছাগল চুরির মামলায় মা-ছেলে কারাগারে ‘অন্যায়ের সাথে নয়া দিগন্তের সাংবাদিকরা কখনোই আপোষ করেন না’ রাজশাহীতে হলে ঢুকতে না দেয়ায় রাস্তায় বিসিএস পরীক্ষার্থীর কান্না সালমান-শাকিবের পর এবার জয়কে টার্গেট!

সকল