ছাগলনাইয়ায় স্বামীর মৃত্যুর ২০ বছর পর এক অসহায় বিধবার জন্য ভাতার কার্ড বানাতে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে মহামায়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গরীব শাহ হোসেন বাদশার হাতে এক মুক্তিযোদ্ধার লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই চেয়ারম্যানের অপসারণ ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা।
জানা গেছে, উপজেলার মহামায়া ইউনিয়নের পূর্বদেবপুর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আবদুল মোমিমের স্ত্রী মোমেনা বেগমকে বিধবা ভাতার তালিকাভুক্ত করতে মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াছ (২৯৭৬১) পরিষদে যান। ওই সময় প্রকৃত ভাতা সুবিধাভোগীদের বাছাই পর্যবেক্ষণ করতে ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া তাহের, সমাজসেবা কর্মকর্তাসহ সরকারি কর্মকর্তারাও পরিষদে উপস্থিত ছিলেন। প্রথম দিকে ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের সুবিধাভোগীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ শেষে চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা তাদের বাছাইকৃত তালিকা থেকে পছন্দের প্রার্থীদের নাম ডাকা শুরু করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করেন মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াছ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান গরীব শাহ এক মেম্বারকে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াছকে টানা-হেছড়া করে বের করে দেয়ার চেষ্টা ও গালিগালাজ করে লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াছ ও অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের। এ ঘটনা নজরে এলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া তাহের ওই মুক্তিযোদ্ধার সামনে চেয়ারম্যানকে সতর্ক করেন এবং স্বামীর মৃত্যুর ২০ বছর পার হলেও কেন ওই মুক্তিযোদ্ধার স্বজন ভাতা পাননি তা চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চেয়েছেন বলে মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াছ জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মহামায়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গরীব শাহ হোসেন বাদশা লাঞ্ছিত করার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তিনি তাকে চলে যাওয়ার জন্য বলেছেন।
ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া তাহের বলেছেন, এ ব্যাপারে চেয়ারম্যানকে ডাকা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা