২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মুন্সীগঞ্জে নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে বেকারি পণ্য

-

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিম বাজারে গিয়ে অলি-গলিতে ঘুরে ফিরে দেখা যায়, আব্দুল খালেক, আক্তার হোসেন, সেকান্দার আলীর বেকারিগুলোতে নোংরা পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে খাদ্যপণ্য। পাড়া-মহল্লার দোকান থেকে শুরু করে স্কুল গেটের শিশুদের কাছে বিক্রি হয়। এসব বেকারিতে তৈরি ক্রিমবিস্কুট, চানাচুর, কেক ও পাউরুটি।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে দেখা যায়, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিমের বাজারে সব বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে নানা ধরনের খাবার তৈরি হচ্ছে। স্যাঁতস্যাঁতে নোংরা ও ফাঙ্গাসযুক্ত পরিবেশে ভেজাল ও নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে অবাধে তৈরি করা হচ্ছে বেকারিসামগ্রী। কারখানার ভেতরে যেখানে তৈরি খাবার রাখা আছে সেখানেই আটা, ময়দার পাশেই রয়েছে ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ ও পোড়া পাম ওয়েলের ময়লাযুক্ত কড়াই। আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানা ধরনের তৈরি পণ্য। শ্রমিকেরা খালি পায়ে, খালি গায়ে নোংরা পরিবেশে এসব পণ্যের পাশ দিয়ে হাঁটাহাঁটি করছেন। আটা-ময়দা প্রক্রিয়াজাত করার কড়াইগুলোও অপরিষ্কার। ডালডা দিয়ে তৈরি করা ক্রিম রাখা পাত্রগুলোতে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছি ভনভন করছে। ময়দা মাখানোর জন্য ইট দিয়ে বানানো চৌবাচ্চার মধ্যেই পরে মরে আছে মাছি ও তেলাপোকা। এই নোংরা পরিবেশের বানানো হচ্ছে ক্রিমবিস্কুট। এসব বেকারি মালিকেরা মোড়কবিহীন ভেজাল খাদ্যসামগ্রী উৎপাদন করছে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে। এগুলো বিভিন্ন চায়ের দোকানে সরবরাহ করছে এসব খাদ্যের গায়ে উৎপাদন ও মেয়াদোর্ত্তীণের তারিখ বসানো নেই।
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিম বাজারে নোংরা পরিবেশে খাদ্য প্রস্তুতকারী বেকারিগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেবে কর্তৃপক্ষ এটাই প্রত্যাশা করছে সর্বস্তরের সচেতন মহল।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল