০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


৩ চিকিৎসক দিয়ে চলছে শার্শার ৫০ শয্যা হাসপাতাল

-

চিকিৎসক ও জনবল সঙ্কটসহ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত যশোরের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাত্র তিন চিকিৎসক দিয়ে কার্যক্রম চলছে। দীর্ঘ দিন ধরে বিকল হয়ে রয়েছে এক্সরে ও ইসিজি মেশিন। আর প্যাথলজি বিভাগে চলছে অনিয়ম ও দুনীতি। কাক্সিক্ষত সেবা না পাওয়া, নি¤œমানের খাবার প্রদান ও অপরিছন্ন পরিবেশে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে রোগীরা। যশোরের শার্শা উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও এশিয়া মহাদেশের সর্ব বৃহৎ আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর বেনাপোলের কয়েক হাজার শ্রমিকসহ চার লাখ মানুষের চিকিৎসাসেবা দেয়ার একমাত্র সরকারি হাসপাতাল শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
এ ছাড়া পাশের ঝিকরগাছা উপজেলার নাভারণ ইউনিয়ন, শঙ্করপুর ইউনিয়ন, শিমুলিয়া ইউনিয়ন, হাজিরবাগ ইউনিয়নসহ চারটি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ এ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিয়ে থাকে। প্রতিদিন বহির্বিভাগে ৩৫০ জন থেকে ৪০০ রোগীকে চিকিৎসাসেবা দিতে হয়। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি থাকে। রোগীদের কথা বিবেচনা করে ২০১৮ সালে ৩১ শয্যার হাসপাতালটি ৫০ শয্যার উন্নীত করা হয়। অথচ চিকিৎসক ও জনবল বাড়েনি। বাড়েনি চিকিৎসা সেবার মান। হাসপাতালে আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার, অ্যানেসথিয়া, গাইনি, সার্জারি, চক্ষু ও শিশুসহ কোনো কনসাল্ট্যান্ট নেই। ৩২ জন চিকিৎসকের মধ্যে রয়েছে চারজন। এর মধ্যে একজন মাতৃকালীন ছুটিতে আছেন।
বিভিন্ন শ্রেণীর ১১৯ জন কর্মচারীর মধ্যে রয়েছেন ৫৪ জন। স্বল্প জনবল দিয়ে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রোগীদের অভিযোগ হাসপাতাল থেকে ঠিকমতো ওষুধ দেয়া হয় না। দীর্ঘ দিন ধরে বিকল রয়েছে এক্সরে ও ইসিজি মেশিন।
প্রতিদিন আন্তঃবিভাগ, বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে একজন ডাক্তার। বহির্বিভাগ আগত রোগীর সংখ্যা ৩৫০ জন, জরুরি বিভাগে ৪০ থেকে ৫০ জন ও ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৫০ থেকে ৫৪ জন। হাসপাতালে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর জনবল সঙ্কট আছে। স্বল্প জনবল দিয়ে উপজেলার সাড়ে তিন লাখ মানুষের চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement