পঞ্চগড়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বেসামরিক পদে নিয়োগ দেয়ার নাম করে একটি দালাল চক্র প্রায় ৩৩ লাখ টাকা হাতিয়ে উধাও হয়ে গেছে। এ ঘটনায় দায়ীদের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। তবে মাস পেরিয়ে গেলেও অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়নি। এ দিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাবা ও ছেলেকে আটক করা হলে স্থানীয় ইউপি সদস্য বাধা দেন। ওই জনপ্রতিনিধিসহ প্রভাবশালীরা বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।
প্রতারণার শিকার চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ, পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের নাক কাটিপাড়া এলাকার ফরিদ হোসেনের ছেলে সোহাগ নিজেকে সেনাবাহিনীর বেসামরিক পদে চাকরিজীবী পরিচয় দিয়ে নিয়োগপত্র দেখান। মাস কয়েক আগে (গত ডিসেম্বর) ফরিদ হোসেন ও তার ছেলে সোহাগ সেনাবাহিনীতে বেসামরিক পদে কয়েকজনকে নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানান। এ সময় তারা নিয়োগপত্র বুঝে দেয়ার শর্তে ঘুষের টাকা গ্রহণের কথা বলেন। একপর্যায়ে তারা সেনাবাহিনীর লোগোসংবলিত ভুয়া নিয়োগপত্র দেখিয়ে চাকরিপ্রত্যাশী সাত যুবকের কাছ থেকে ৩৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। বাবা ও ছেলের অভিনব কৌশলে ওই ইউনিয়নের দালালপাড়া এলাকার আবদুল জব্বারের ছেলে সিদ্দিকুর রহমান, শাল্টিয়াপাড়া এলাকার নুর আলমের ছেলে সুজন ইসলাম, একই এলাকার আবদুল গফফারের ছেলে শাহারিয়ার সৌরভ, টুনিরহাট এলাকার আবদুল কাদেরের ছেলে মামুন ইসলাম, কামাত কাজল দিঘি ইউনিয়নের কুচিয়ারমোড় এলাকার নজির উদ্দিনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম, একই এলাকার তমিজ উদ্দিনের ছেলে রবিউল ইসলাম রুবেল ও তরিকুল ইসলামের ছেলে মাসুদ রানা প্রায় ৩৩ লাখ টাকা প্রদান করেন। এদের কাছে শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী ২ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়। বাবা ও ছেলে পরীক্ষা ছাড়াই তাদের হাতে ভুয়া নিয়োগপত্র ধরিয়ে দেন। তবে সিদ্দিকুর রহমান নামে এক যুবককে ঢাকার কচুক্ষেত সেনানিবাসের একটি ক্যান্টিনে ওয়েটারের কাজ দেন দালাল চক্রটি। পরে তিনিও এলাকায় ফেরত এসে বাবা ও ছেলের অপকর্ম ফাঁস করে দেন। নিয়োগের নামে প্রতারণার বিষয়টি জানাজানি হলে ফরিদ ও তার ছেলে সোহাগকে আটক করেন স্থানীয়রা। তাদের পুলিশে দিতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজুল ইসলাম থানা পুলিশ না করে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমঝোতার আশ্বাস দেন। অবশেষে ২৩ মার্চ প্রতারণার শিকার সিদ্দিকুরের বড় ভাই খাদিমুল ইসলাম ফরিদ হোসেন ও তার ছেলে সোহাগের বিরুদ্ধে পঞ্চগড় থানায় একটি প্রতারণার অভিযোগ দাখিল করেন। বর্তমানে সোহাগ ও তার বাবা পলাতক রয়েছে।
পঞ্চগড় সদর থানার এসআই আবদুল জব্বার বলেন, আমার কাছে তাদের অভিযোগটি আছে। এটি মূলত এজাহার হয়নি। অভিযোগটি তাদেরকে সংশোধন করে আনতে বলা হয়েছিল। কিন্তু পরে তারা আর আসেনি।
সদর থানা পুলিশের ওসি আবু আক্কাস আহম্মেদ বলেন, এ বিষয়ে তেমন কিছু জানি না। বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে যেটা ভালো হয়, তা করার চেষ্টা করছি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা