০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


নীলফামারীতে পাটের ভালো ফলনের সম্ভাবনা

-

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর নীলফামারী জেলায় পাটের ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষকেরা। তবে পাট পচানোর পর্যাপ্ত পানি না পাওয়া গেলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন বলে আশঙ্কা তাদের।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, একসময়ের অর্থকরী ফসল পাট আবার আগের স্থানে ফিরে আসতে শুরু করেছে। কৃষকেরা দুই বছর ধরে পাটের ভালো দাম পাওয়ায় দিন দিন পাটের আবাদ বাড়ছে। এ ছাড়া পাটের নানাবিধ ব্যবহার বৃদ্ধিতে কৃষকেরা আগ্রহী হচ্ছে পাটচাষে।
জেলায় এবার পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ হাজার ৪৬০ হেক্টর জমিতে। সেখানে অর্জিত হয়েছে ৯ হাজার ১৫৯ হেক্টর জমি। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০ হাজার ৫৩১ মেট্রিক টন। আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কিছুটা ঘাটতি থাকলেও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লক্ষ্যমাত্রার সমপরিমাণ পাট উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সূত্র মতে, গত বছর পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ হাজার ৪৩৫ হেক্টর জমিতে। অর্জিত হয় ৯ হাজার ১৬০ হেক্টর। আবাদের ওই পরিমাণ জমিতে ২০ হাজার ৬২৯ মেট্রিক টন পাট উৎপাদন হয়েছিল। সে তুলনায় এবারো প্রায় সমপরিমাণ জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে।
নীলফামারী পৌর এলাকার উত্তর হাড়োয়া গ্রামের কৃষক হবিবার রহমান বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার পাটের ভালো ফলন হয়েছে। তবে সঠিক সময়ে পাট পচানোর পর্যাপ্ত পানি না পাওয়া গেলে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে তিনি জানান।
সদর উপজেলার টুপামারী ইউনিয়নের বাজার মৌজা গ্রামের রজব আলী বলেন, প্লাস্টিকের বস্তা ও ব্যাগের পরিবর্তে এখন চটের বস্তা ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পাটের চাহিদা বেড়ে গেছে। এতে করে পাটের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন কৃষকেরা। এ কারণে পাট আবাদে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, সরকার খাদ্যদ্রব্যসহ বিভিন্ন পণ্য বাজারজাতকরণে পরিবেশবান্ধব পাটের বস্তা ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে। ফলে পাটের চাহিদা বৃদ্ধির পাশাপাশি পাটের দাম বেড়েছে। এতে করে এ জেলায় দিন দিন পাটের চাষ বাড়ছে।


আরো সংবাদ



premium cement