অ্যান্টার্কটিক প্রমোদতরী গ্রেগ মর্টিমারে থাকা প্রায় ৬০ শতাংশ যাত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। তাই সেখানে আটকে থাকা অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের যাত্রীদের বৃহস্পতিবার সরিয়ে নেয়া হবে।
অস্ট্রেলিয়ার অরোরা এক্সপেডিশন কতৃক পরিচালিত এই গ্রেগ মর্টিমার ক্রুজ জাহাজটি গত ১৫ মার্চ অ্যান্টার্টিকা ও দক্ষিণ জর্জিয়া ভ্রমণের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় ৩ এপ্রিল জাহাজটি উরুগুয়ের উপকূলে আটকে দেয়া হয়। ভাইরাসের ঝুঁকির কারণে কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের নামার অনুমতি দেয়নি।
জাহাজটিতে ২১৭ জন যাত্রীর মধ্যে প্রায় ১২৮ জন যাত্রী ও ক্রু করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
গুরুতর ছয়জন রোগীদের মেডিক্যাল ও প্রটেক্টিভ গিয়ার সুরক্ষা দিয়ে অন্য জাহাজের সাহায্যে উরুগুয়ের রাজধানী মন্টিভিডিওতে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া ইউরোপ ও আমেরিকার যে সকল যাত্রী কোভিড-১৯ আক্রান্ত তারা সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত জাহাজে অবস্থান করবেন। জাহাজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
একটি বিবৃতিতে জানা গেছে, জাহাজে অবস্থারত ডাক্তারো জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন।
উরুগুয়ের সরকার জানিয়েছেন তারা এই সপ্তাহেই নিউজিল্যান্ডে ও অস্ট্রেলিয়ার যাত্রীদের একটি মেডিক্যাল ফ্লাইটের মাধ্যমে সরিয়ে নেয়ার অনুমতি দেবে। ওই বক্তব্য অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার যাত্রীদের বিমানে করে মেলবোর্ন নেয়া হবে। সেখানে তারা ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন অবস্থায় থাকতে হবে।
জাহাজটি বন্দরে নামর আগে সকল যাত্রীর কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হবে। যদিও জাহাজে সেই যথেষ্ট সুবিধা আছে কিনা সেই ব্যাপারে প্রশ্ন উঠেছে।
প্রসঙ্গত, ডাইমন্ড প্রিন্স নামের ক্রুজ লাইনার জাহাজটি জাপানের ওকোহামা বন্দরে কোয়ারেন্টাইন অবস্থায় রাখা হয়েছিল।
সূত্র : সিএনএন
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা