০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মিয়ানমারে বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য ফেসবুকের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের মামলা

মিয়ানমারে বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য ফেসবুকের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের মামলা
শরণার্থী শিবিরে সন্তানসহ রোহিঙ্গা নারী - ছবি : আনাদোলু এজেন্সি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের জাতিবিদ্বেষী সহিংসতায় উত্তেজনা ছড়ানোর জন্য ১৫০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণের জন্য মামলা দায়ের করেছে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা।

সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের এক আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার আবেদনে বলা হয়, ফেসবুকের অ্যালগরিদমে মিথ্যা তথ্য ও উগ্রবাদী বক্তব্য মিয়ানমারে ছড়িয়ে পড়েছে, যা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জাতিবিদ্বেষী সহিংসতায় উত্তেজনা বাড়িয়েছে।

আবেদনে বলা হয়, 'ফেসবুক এক রোবট প্রোগ্রামের মতো যার উদ্দেশ্য একটাই : বিস্তার করা।'

এতে বলা হয়, 'এই বাস্তবতা অস্বীকার করা যায় না যে ঘৃণা, বিভেদ ও ভুল তথ্যের ফেসবুকে বিস্তারের মাধ্যমে লাখ লাখ রোহিঙ্গাদের জীবনকে ধ্বংসের মুখে ঠেলেছে।'

মিয়ানমারে বাস করা বিভিন্ন মুসলিম সম্প্রদায় দেশটিতে নিগ্রহের শিকার হয়ে আসছে। কয়েক প্রজন্ম ধরে শত শত বছর মিয়ানমারে বাস করে আসলেও দেশটিতে তাদেরকে বহিরাগত হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের উত্তরের রাখাইন প্রদেশে এক সামরিক চৌকিতে কথিত 'হামলার' অভিযোগে স্থানীয় রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে দমন অভিযান শুরু করা হয়।

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর পরিচালিত রোহিঙ্গাবিরোধী ওই দমন অভিযানে অন্তত ২৪ হাজার আট শ' রোহিঙ্গা বাসিন্দা প্রাণ হারান বলে কানাডাভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অন্টারিও ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির (ওআইডিএ) ২০১৮ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়।

সামরিক বাহিনী ও স্থানীয় মিয়ানমারের জনগোষ্ঠীর এই দমন অভিযান থেকে বাঁচতে অন্তত সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।

জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার বিষয়ক তদন্তকারীরা ২০১৮ সালের এক প্রতিবেদনে জানান, ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারে এই জাতিবিদ্বেষী সহিংসতায় ফেসবুক ঘৃণা ছড়ানোর মাধ্যমে সহিংসতা বৃদ্ধিতে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে। অপরদিকে একই বছর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক তদন্তে দেখানো হয়, ফেসবুকে মুসলিমবিরোধী বিভিন্ন পোস্ট ছড়িয়ে পড়লেও তা মুছে ফেলতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

যেসব ফেসবুক পোস্টের উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স তদন্ত করেছিল, তার একটি ২০১৩ সালের এবং সেটির ভাষা ছিলো, 'আমরা এমনভাবে তাদের প্রতিহত করবো যেভাবে ইহুদিদের প্রতিহত করেছিলেন হিটলার।'

আরেকটি পোস্টের ভাষা ছিলো, 'জ্বালানি ঢেলে আগুন ধরিয়ে দাও, যাতে তারা আরও তাড়াতাড়ি আল্লাহর কাছে পৌঁছাতে পারে।'

মিয়ানমারে দুই কোটির বেশি ফেসবুক ব্যবহারকারী রয়েছে। দেশটিতে অনেকের জন্যই এই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমটি খবর পাওয়ার এবং দেয়ার প্রধান অথবা একমাত্র মাধ্যম।

সূত্র : আলজাজিরা ও বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement
অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করলেন শিব্বির আহমদ রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের শিডিউল বিপর্যয়, ভোগান্তি যাত্রীদের গণহত্যা বন্ধ করে ফিলিস্তিনকে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে : ছাত্রশিবির দোয়ারাবাজারে মইন হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ উপজেলা নির্বাচন : দ্বিতীয় ধাপে ৬১ জনকে বহিষ্কার করলো বিএনপি গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে সিলেটে শিবিরের বিক্ষোভ মিছিল ঝালকাঠিতে পারিবারিক দ্বন্দ্বে হত্যা, বাবা ও ভাই গ্রেফতার বন্যাবিধ্বস্ত কেনিয়া ও তানজানিয়ায় ঘূর্ণিঝড় সতর্কতা জারি রাজধানীতে লেকে গোসলে নেমে ২ কিশোরের মৃত্যু ইসরাইলের ওপর কঠোর হতে বাইডেনের প্রতি ডেমোক্রেট কংগ্রেস সদস্যদের আহ্বান আশুলিয়ায় ঝুট ব্যবসা দখল নিতে ৬ জনকে কুপিয়ে জখম

সকল