উইঘুর-নির্যাতন : চীন থেকে তুলা, টমেটো কিনবে না আমেরিকা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৩:৩০
চীনের জিনজিয়াং প্রদেশ থেকে টমেটো ও তুলা আমদানি করবে না আমেরিকা। তাদের অভিযোগ, জিনজিয়াং প্রদেশে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম শ্রমিকদের দিয়ে জোর করে কাজ করায় চীন। এই অঞ্চলে উইঘুরদের প্রচুর ডিটেনশন ক্যাম্প আছে। সেখানেই তাদের জোর করে কাজ করানো হয়।
এর ফলে আমেরিকার অসুবিধা হবে। তুলা, সুতা থেকে শুরু করে পোশাক এবং টমেটো পেস্ট, পাউডার ও টমেটো থেকে তৈরি হওয়া অন্য জিনিস পাওয়ার ক্ষেত্রে আমেরিকা সমস্যায় পড়বে। সেখানে ওই সব জিনিসের দাম বাড়ার আশঙ্কাও থাকছে।
আমেরিকার আইন অনুসারে কোনো জিনিস জোর করে শ্রমের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে জানতে পারলে তা আটক করবে কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন বিভাগ(সিবিপি)।
সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে সিবিপি জানিয়েছে, চীনের তুলা এবং টমেটোয় আপাতত তারা রিলিজ অর্ডার দেবে না।
সংস্থার এক কর্মকর্তা ব্রেন্ডা স্মিথ জানিয়েছেন, ''আমাদের কাছে যুক্তিগ্রাহ্য প্রমাণ আছে, তবে তা নির্ণায়ক নয়। জিনজিয়াং থেকে আসা টমেটো ও তুলা ও তুলাজাত জিনিসের ক্ষেত্রে জোর করে শ্রমের ঝুঁকি সবসময়ই থাকে। আমরা তদন্ত চালিয়ে যাব।''
সিবিপি-র দাবি, তাদের হাতে যে প্রমাণ আছে তা থেকে বোঝা যাচ্ছে, শ্রমিকদের ঋণজালে বেঁধে ফেলা হচ্ছে। স্বাধীনভাবে যাতায়াত করতে দেয়া হচ্ছে না। ভয় দেখানো হচ্ছে। বেতন বন্ধ রাখা হচ্ছে। গালাগাল দেয়া হচ্ছে এবং তাদের জীবনযাপনের মানও খুব খারাপ।
গত সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জানিয়েছেন, জিনজিয়াংয়ে জোর করে শ্রমের কাজ বন্ধ করতে হবে চীনের কমিউনিস্ট পার্টিকে।
আমেরিকার দাবি, জিনজিয়াংয়ে ১০ লাখ উইঘুর মুসলিম যে বন্দিশিবিরে আছেন, তার উপযুক্ত প্রমাণ তাদের হাতে আছে। তাছাড়া উইঘুরদের ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখার প্রমাণ তাদের হাতে আছে বলেও পররাষ্ট্র দপ্তরের দাবি।
বিশ্বের ২০ ভাগ তুলা উৎপাদন করে চীন। আর তাদের ৮০ ভাগ তুলার উৎপাদন হয় জিনজিয়াংয়ে। আর বিশ্বের মোট টমেটো উৎপাদনের দুই শতাংশ হয় চীনে। কিন্তু ২০১৫ থেকে তারা টমেটোর উৎপাদন ও রফতানি দ্রুত বাড়াচ্ছে। ডয়চে ভেলে
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা