চীন সফরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪১
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বুধবার চীনের সাংহাই পৌঁছেছেন। সেখানে তিনি শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক করবেন। তারপর শুক্রবার যাবেন বেজিংয়ে। সেখানে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে তার কথা হবে।
প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথেও বৈঠক করতে পারেন তিনি।
এক বছরের মধ্যে তার এই দ্বিতীয় চীন সফরে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক ভালো করার চেষ্টা করবেন ব্লিংকেন।
গত বছর জুনে ব্লিংকেন চীন সফরে গিয়েছিলেন। তার সেই সফরের ফলে দু’দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা কমেছিল। পাঁচ বছরের মধ্যে ব্লিংকেনই সর্বোচ্চ মার্কিন কূটনীতিক যিনি চীন সফরে যান।
এরপর নভেম্বরে দু’দেশের প্রেসিডেন্টের মধ্যে বৈঠক হয়েছিল। জো বাইডেন ও শি-র বৈঠকে ফলে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কে উত্তেজনা কিছুটা হলেও কমেছিল।
‘মুখোমুখি আলোচনার দরকার আছে’
ওয়াশিংটন ও বেজিংয়ের মধ্যে সম্পর্ক আর খারাপ না হলেও এখনো বেশ কিছু সমস্যা থেকে গেছে। তাইওয়ান নিয়ে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা আছে। ইউক্রেন যুদ্ধে চীন যেভাবে রাশিয়াকে সমর্থন করছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্র ক্ষুব্ধ। চীন থেকে ফেন্টানিল বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক কম করার ক্ষেত্রেও বিশেষ অগ্রগতি হয়নি।
ব্লিংকেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, চীন থেকে ফেন্টানিল ও সিন্থেটিক আফিমের মতো ওষুধ আসাটা কম করার বিষয়টি নিয়ে তিনি চীনা নেতৃত্বের সাথে কথা বলবেন।
তিনি জানান, ‘মুখোমুখি বসে আলোচনার মাধ্যমে কূটনীতির আলাদা গুরুত্ব আছে।’
ব্লিংকেন বলেন, ‘ভুল ধারণা ও ভুল বার্তা এড়ানো দরকার। যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের স্বার্থরক্ষাটাও জরুরি।’
চীন ও রাশিয়ার সম্পর্ক নিয়ে
চীনা কোম্পানিগুলো যেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষা-শিল্পকে সাহায্য না করে সে জন্য চাপ দেবেন ব্লিংকেন।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কো ইউক্রেন আক্রমণ করে। তার কিছুদিন আগেই বেজিং রাশিয়ার সাথে তাদের সীমাহীন সম্পর্কের কথা ঘোষণা করে।
চীন অবশ্য রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করেনি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র অভিয়োগ, চীনা কোম্পানিগুলো রাশিয়াকে এমন প্রযুক্তি সরবরাহ করছে, যা যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করা সম্ভব।
ব্লিংকেন তার এই সফরে বাণিজ্যিক ও মানবাধিকারের বিষয়টি নিয়েও কথা বলবেন। বিশেষ করে পশ্চিম শিনহুয়াতে মুসলিমদের প্রতি যে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেই বিষয়টি তিনি তুলতে পারেন।
সূত্র : ডয়চে ভেলে