০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


যৌথভাবে এস-৫০০ তৈরিতে রাশিয়াকে এরদোগানের প্রস্তাব

যৌথভাবে এস-৫০০ তৈরিতে রাশিয়াকে এরদোগানের প্রস্তাব - সংগৃহীত

যৌথভাবে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৫০০ তৈরির জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে প্রস্তাব দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোগান।

তুরস্কের টেলিভিশন চ্যানেল '২৪ টিভি'কে দেয়া সাক্ষাৎকারে এরদোগান এ তথ্য জানিয়েছেন।

তবে কখন এ প্রস্তাব দেয়া হয়েছে এবং প্রস্তাবের বিষয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের জবাব কী ছিল তা জানান নি এরদোগান।

তুরস্ক রাশিয়া থেকে যে এস-৪০০ কিনছে তার জন্য সহজ শর্তে মস্কো ঋণ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন এরদোগান। এস-৪০০ পাওয়ার পর যৌথভাবে এস-৫০০ তৈরি করতে চায় তুরস্ক।

এর আগে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই বলেছিলেন, আগামী ২০২০ সালে তুরস্ককে এস-৪০০ সরবরাহ শুরু করা হবে।

বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, এস-৫০০'র পাল্লা হবে ছয়শ' কিলোমিটার। গত বছরের শেষ দিকে রাশিয়ার সাথে এস-৪০০ কেনার চুক্তি করেছে তুরস্ক।

এর আগে গত ৮ জুন তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোইলু বলেছিলেন, এই মুহূর্তে তার দেশে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হলে তা ঠেকানোর কোনো ব্যবস্থা আঙ্কারার হাতে নেই। কাজেই রাশিয়া থেকে এস-৪০০ এসে পৌঁছালে তা তুরস্কের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে।

 

প্রয়োজনে এস-৪০০ ব্যবহারের ঘোষণা এরদোগানের
দৈনিক হুররিয়াত 
 

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যেপ এরদোগান সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, তার দেশ প্রয়োজনে রাশিয়ায় তৈরি অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ ব্যবহার করবে।

গত বছরের শেষ দিকে রাশিয়ার সঙ্গে এস-৪০০ কেনার চুক্তি করলেও এখনো এ ব্যবস্থা হাতে পায়নি তুরস্ক। রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ সংগ্রহ করলেও তুরস্ক যাতে তা ব্যবহার না করে সেজন্য তুর্কি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

এ সম্পর্কে একটি তুর্কি টিভি চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে এরদোগান বলেন, তার দেশ এস-৪০০ কিনে গুদামে রেখে দেবে না। প্রয়োজনে ব্যবহার করার জন্যই এটি কেনা হচ্ছে।

এরদোগান বলেন, আমেরিকার কাছ থেকে একই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কেনার জন্য তুরস্ক বহু বছর ধরে অপেক্ষা করেছে। কিন্তু কংগ্রেসের দোহাই দিয়ে ওয়াশিংটন আঙ্কারাকে এটি দিতে অস্বীকৃতি জানানোর পর রাশিয়ার দ্বারস্থ হয়েছে তার দেশ।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, আমেরিকার বিপরীতে রাশিয়া এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা বিক্রির ক্ষেত্রে চিত্তাকর্ষক প্রস্তাব দিয়েছে। এটি কেনার জন্য মস্কো আঙ্কারাকে অনেক ভালো শর্তে ঋণ দিতেও রাজি হয়েছে বলে জানান তিনি।

এর আগে গত ৮ জুন তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোইলু বলেছিলেন, এই মুহূর্তে তার দেশে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হলে তা ঠেকানোর কোনো ব্যবস্থা আঙ্কারার হাতে নেই। কাজেই রাশিয়া থেকে এস-৪০০ এসে পৌঁছালে তা তুরস্কের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে।

তিনি আরো বলেন, যেসব দেশ প্রতিশ্রুতি দিয়েও তুরস্ককে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করতে রাজি হয়নি তারা এস-৪০০-এর কার্যকারিতার ব্যাপারে আঙ্কারাকে হতাশ করার চেষ্টা করছে।  

রাশিয়ার একজন কর্মকর্তা সম্প্রতি বলেছেন, আগামী ২০২০ সালের মার্চ মাস নাগাদ এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার প্রথম চালান হাতে পাবে তুরস্ক।


আরো সংবাদ



premium cement
এক মাসে ১৩৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ চট্টগ্রাম বিমান বন্দর : ৩ কোটি টাকার সৌদি রিয়াল ও ডলার উদ্ধার ‘পাকিস্তানে ৯ মের সহিংসতায় দায়বদ্ধতার স্থান থেকে তিন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা বরখাস্ত করা হয়েছে’ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ বুধবার গাজা-ইসরাইল ক্রসিংয়ে ইসরাইলি বাহিনীর উপর হামাসের হামলা তরুণ্যেই অর্ধশতাধিক ইসলামী সঙ্গীতের রচয়িতা সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে কৃষকদের যত ভোগান্তি ইসরাইলের রাফা অভিযান : জার্মানির কড়া প্রতিক্রিয়া চট্টগ্রামে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতে একসাথে কাজ করবে সিএমপি ও চসিক রাফায় ইসরাইলি অভিযানে ‘আমি বিরক্ত ও ব্যথিত’ : জাতিসঙ্ঘ প্রধান ৩ দিনের সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে তুরস্ক নৌবাহিনীর জাহাজ

সকল