সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা কোম্পানীগঞ্জের পাহাড়ী খরস্রোতা ধলাই নদীতে ডুবে দুই দিনে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ ৬ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার অন্যতম আকর্ষণ ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর এলাকা। সাদা পাথর দেখতে প্রতিদিন সেখানে ভিড় করেন শতশত পর্যটক।
গত রোববার বন্ধুদের সাথে এই সাদাপাথরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়েছিলেন সিলেটের লিডিং ইউনিভার্সিটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র হাসানুর রহমান আবীর। তিনি সিভিল ইঞ্জিয়ারিংয়ের ছাত্র। ওইদিন দুপুর ১টা নাগাদ ধলাই নদীতে নেমেছিলেন সাঁতার কাটতে। হঠাৎ স্রোতের টানে ভেসে যান তিনি। এরপর ডুবুরিরা চেষ্টা চালিয়েও তাঁর সন্ধান পায়নি। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টা ৫ মিনিটে নদীতে তার লাশ ভেসে ওঠতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে সাড়ে ৭টার দিকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, যে স্থানে আবীর নিখোঁজ হয়েছিলেন সেই জায়গার ৫০ গজ দূরে নদীতে আবীরের লাশ ভেসে ওঠে। লাশটি উদ্ধারের পর এখন সুরতহাল চলছে। এরপর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রোববার ধলাইয়ে পৃথক নৌকা ডুবির ঘটনায় আরো ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওইদিন ভোরের দিকে কোম্পানীগঞ্জের রাজনগর এলাকায় বালুভর্তি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনায় নাঈম হোসেন ও জমির হোসেন নামক ২ বালু শ্রমিকের মৃত্যু হয়। শুধু শ্রমিক আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নয়, টুকেরবাজার এলাকায় ধলাইয়ে ডুবে দুই শিশুরও প্রানহানি ঘটেছে ।
রোববার সকাল ১১টার দিকে ধলাইর বুকে একটি খেয়া নৌকা ডুবে যায়। এসময় দুই শিশু নিখোঁজ হয়। ডুবুরিরা চেষ্টা করেও তাদের উদ্ধার করতে পারেন নি। এদিকে, সোমবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার নতুন বাজার ও বাংকারের মাঝামাঝিতে মরা ধলাই নদীতে খালি বলগেট নৌকার ধাক্কায় বালু বোঝাই আরেকটি বলগেট নৌকা ডুবে যায়।এসময় ৩ জন মাঝি লাফ দিয়ে নিরাপদে চলে গেলেও ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা এক ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন। কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ জানিয়েছে, নিখোঁজ নৌশ্রমিকের লাশ এখনও উদ্ধার সম্ভব হয়নি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা